রক্তাক্ত ছেলের দেহের সামনে ফুঁপিয়ে কান্না বাবার, রাশিয়ার ‘দৌলতে’ মর্মান্তিক ছবি

রক্তাক্ত ছেলের দেহের সামনে ফুঁপিয়ে কান্না বাবার, রাশিয়ার ‘দৌলতে’ মর্মান্তিক ছবি

কিয়েভ: ছেলেটা কয়েক ঘণ্টা আগেও ফুটবল নিয়ে খেলছিল। কিন্তু এক লহমায় সব শেষ করে দিল রাশিয়ান বাহিনীর গোলা। বোমাবর্ষণে জখম হয়ে মৃত্যু হল প্রাণবন্ত এক কিশোরের। ঘটনাটি ঘটেছে ইউক্রেনের অ্যাজভ সাগরলাগোয়া বন্দরশহর মারিউপলে। সেখানে এক মাঠে খেলাধুলা করছিল কয়েক জন কিশোর। ঠিক সময়েই আচমকা রাশিয়ান হামলা। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রক্তাক্ত হয়ে গেল ফুটবল মাঠ।

আরও পড়ুন- ব্রেকিং: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ!

যে কিশোরের ছবি ভাইরাল হয়েছে তার নাম ইলিয়া। বাকি কয়েক জনের সঙ্গে সে তখন মাঠে ফুটবল খেলছিল। যে সময় তারা সবাই খেলছিল সেই সময়েই তাদের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছিল একের পর এক রাশিয়ান বায়ুবাহিনী। আশেপাশে শোনা যাচ্ছিল গুলির শব্দ, বোমার আওয়াজ। সেই রকমই একটা বোমা এসে পড়ে তাদের খেলার মাঠে। সঙ্গে সঙ্গে চারপাশ কালো ধোঁয়া-ধুলোয় ভরে যায়। বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজে কেঁপে ওঠে চারিদিক। নিমেষের মধ্যে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ইলিয়া সহ বাকিরা। কিছুক্ষণ পর একটু পরিষ্কার হতেই দেখা যায় রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারিদিক। রক্তাক্ত ইলিয়া পড়ে রয়েছে মাঠের এক দিকে। স্থানীয়রাই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসনে ইলিয়ার বাবাও। ইলিয়াকে সোজা অস্ত্রোপচারের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। বাইরেই অপেক্ষারত তার বাবা শেরি।

অপেক্ষা ভালো খবর আনেনি। চিকিৎসকরা যখন ওটি থেকে বেরলেন তখন তো সবই শেষ। কিছুক্ষণ আগে যে ছেলেটা হাসিমুখ নিয়ে সারা ফুটবল মাঠ দাপাচ্ছিল সে এখন রক্তাক্ত হয়ে নিস্তেজভাবে পড়ে রয়েছে এক স্টেচারে। রক্তমাখা চাদরে ঢাকা ছিল ইলিয়া। তার সামনে বসে কাঁদতে চাইছিলেন তার বাবা, কিন্তু এল না। চোখ দিয়ে জল বেরল না। ইলিয়ার মাথার কাছে রাখা চেয়ারটা টেনে নিয়ে ছেলের মাথায় একটা স্নেহের চুম্বন করলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই বেরিয়ে এল চোখের জল। না, তারস্বরে চিৎকার করে কান্না নয়। বুক ফাটা নিঃশব্দ কান্না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 9 =