মঙ্গলের প্রথম মানুষ হতে চলেছেন ১৮ বছরের তন্বী

ওয়াশিংটন: হ্যা, মঙ্গলের প্রথম মানুষ হতে চলেছেন ১৮ বছরের অ্যালিসা কার্সন। মঙ্গল থেকে হয়তো আর না-ও ফিরতে পারে পৃথিবীতে। হয়তো থেকেই যেতে হতে পারে লাল গ্রহেই। সবে জেনেও কিন্তু একটুও ভয় পাচ্ছে না অ্যালিসা। অ্যালিসার মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নটা শুরু হয় মাত্র তিন বছর বয়সে। সেসময় নিকলেডন নামক একটি অ্যানিমেটেড কার্টুন দেখে প্রথম মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ

মঙ্গলের প্রথম মানুষ হতে চলেছেন ১৮ বছরের তন্বী

ওয়াশিংটন: হ্যা, মঙ্গলের প্রথম মানুষ হতে চলেছেন ১৮ বছরের অ্যালিসা কার্সন। মঙ্গল থেকে হয়তো আর না-ও ফিরতে পারে পৃথিবীতে। হয়তো থেকেই যেতে হতে পারে লাল গ্রহেই। সবে জেনেও কিন্তু একটুও ভয় পাচ্ছে না অ্যালিসা। অ্যালিসার মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নটা শুরু হয় মাত্র তিন বছর বয়সে।

সেসময় নিকলেডন নামক একটি অ্যানিমেটেড কার্টুন দেখে প্রথম মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়। সেই স্বপ্ন সত্যি করতে তুলতে সাহায্য করেন তাঁরা বাবাও। নিজেই মেয়েকে নিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস ক্যাম্পে ২০০৮ সালে। শুরু হয় অ্যালিসার প্রশিক্ষণ। অ্যালিসাই প্রথম ও সবচেয়ে কম বয়স্ক ব্যক্তি যে নাসার তিনটি মহাকাশ ক্যাম্পে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক এগোলে ২০৩৩ সালে নাসার মঙ্গল-মিশনে প্রথম মানুষ হিসেবে অ্যালিসা পা রাখবে লাল গ্রহের মাটিতে। সেসময় তাঁর বয়স হবে ৩২ বছর।

মঙ্গলে তাঁকে থাকতে হবে কয়েক কয়েক বছর। নানারকম বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি প্রাণ ধারণের সম্ভবনা নিয়ে গবেষণা করবে ১৮ বছরের এই তরুনী। এই বিষয়ে নাসার কর্মকর্তা পল ফোরম্যান জানান, সঠিক ভাবনা, সঠিক প্রশিক্ষণ, সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে নভোচারী হওয়ার পথেই এগিয়ে যাচ্ছে অ্যালিসা। মাত্র ১২ বছর বয়সেই নাসার ইতিহাসে প্রথম তিন-তিনটি স্পেস ক্যাম্পে অংশ নিয়ে ফেলেন। শিখতে শুরু করেন মহাকাশ সম্পর্কে নানা তথ্য, ভারহীন স্থানে থাকার উপায় ও আরও অনেক কিছু। নাসা অ্যালিসাকে দিয়েছে বিশেষ একটি কোড নেমও: ব্লুবেরি। হয়তো এই ব্লুবেরির হাত ধরেই উম্মোচিত হবে বিজ্ঞানের কোনও নতুন দিগন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *