কাবুল: আফগানিস্তানে তালিবানি ছায়ায় প্রমাদ গুনছে গোটা বিশ্ব৷ গত ৪৮ ঘণ্টায় কাবুলের পথে অবিশ্বাস্য ভাবে কমে গিয়েছে মেয়েদের উপস্থিতি৷ ২০ বছর আগের তালিবানের থেকে আজকের তালিবানের ফারাক রয়েছে বলে দাবি করা হলেও মহিলাদের উপর যে সকল বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে তাতে অশনিসঙ্কেত দেখছে তৃতীয় বিশ্বের নাগরিকরা৷
আরও পড়ুন- কাবুলে বন্ধ ভারতীয় দবতাবাস, আফগানিস্তানের হিন্দু ও শিখদের আশ্রয় দেবে দিল্লি
গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতির মধ্যেই স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে একটি বিবৃতি জারি করেছে তালিবানরা৷ সেখানে ১৫ বছরের উর্ধ্বে মেয়ে ও ৪৫ বছরের নীচে থাকা বিধবা মহিলাদের তালিকা চাওয়া হয়েছে৷ কারণ এই তালিকা ধরেই তালিবান যোদ্ধাদের সঙ্গে তাঁদের বিয়ে দেওয়া হবে৷ এর পর পাকিস্তানের উজিরিস্তানে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হবে৷
তালিবানের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পর থেকেই উৎকণ্ঠায় গোটা বিশ্ব৷ আতঙ্কিত, ভীত সন্ত্রস্ত আফগানিস্তানের মানুষ৷ কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছে কাতারে কাতারে মানুষ৷ শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হুড়োহুড়ি৷ যে যতটা পেরেছে, শেষ সম্বলটুকু বুকে আঁকড়ে চাইছে কাবুলের মাটি ছাড়তে৷ ২০ বছর আগে আফগানিস্তানে যে আতঙ্কের পরিবেশ গড়ে তুলেছিল তালিবান, সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি ফিরে আসুক চায় না আফগান জনগণ৷ মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার পরেই ফের সক্রিয় তালিবান৷ প্রায় রাতারাতি তাঁরা দখল নেয় গোটা দেশের৷ প্রথমে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি কব্জা করে তারা৷ পরে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় কাবুলের দিকে৷ তাদের বন্দুকের সামনে কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি আফগান নিরাপত্তা বাহিনী৷
আরও পড়ুন- চারটে গাড়ি, টাকা ভর্তি হেলিকপ্টার নিয়ে পালিয়েছেন গনি!
২০০১ সালের আগে পর্যন্ত তালিবান রাজত্বে ভয়ঙ্ক ছিল সে দেশের মেয়েদের পরিস্থিতি৷ শিক্ষার অধিকার ছিল না তাঁদের৷ এমনকী বাড়ির বাইরে একা পা রাখার অনুমতিও ছিল না৷ বাইরে বেরলে একজন পুরুষকে সঙ্গে থাকতেই হবে৷ নিয়ম লঙ্ঘন করলেই চলত অত্যাচার৷ ফের সেই আতঙ্ক গ্রাস করছে আফগানিস্তানকে৷ আশঙ্কা, এবার তাঁদের পরিবারের মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়া হবে৷ জোড় করে বিয়ে দেওয়া হবে তালিবান যোদ্ধাদের সঙ্গে৷ দাস করে রাখা হবে৷ হয়তো বা করা হবে যৌন দাস৷ তালিবানের এক সাব কমান্ডার ঘোষণা করেছে, ১৮ বছরের বেশি মেয়েদের বাড়িতে রাখা নাকি পাপ৷ তাঁদের বিয়ে করতে হবে৷