কাবুল: আফগানিস্তান তালিবান দখল করে নেওয়ার পর ভারতের চিন্তার কোন শেষ নেই। মনে করা হচ্ছিল যে এবার একাধিক ইস্যুতে ভারতের ওপর চাপ বাড়বে। সেই সব ইস্যুর মধ্যে অন্যতম জম্মু-কাশ্মীর। কিন্তু দেশ দখল করার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে তালিবানের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হল যে তাঁরা কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলাবে না। অর্থাৎ ভারতের ছয় দশক পুরনো অবস্থানেই সায় দিল তালিবান।
আফগানিস্তান দখল করার পর গতকাল প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ। সে বলে, কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিক এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাই সেই ব্যাপারে তালিবানের কোনও নজর নেই। তার কথায়, তালিবান কারোর সঙ্গে শত্রুতার সম্পর্ক তৈরি করতে চায় না। অর্থাৎ এক্ষেত্রে কাশ্মীর ইস্যুতে তালিবান যে ভারত এবং পাকিস্তানের ওপরই দায় ছেড়ে দিচ্ছে এটা পরিষ্কার। যদিও এর আগে একাধিকবার ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করার জমিদের আশ্রয় নিয়েছে তালিবান এমনকি ভারত সরকার যে ৩৭০ ধারা বাতিল করেছিল তারও সমালোচনা করেছিল তারা। কিন্তু এখন প্রায় দুই বছর পরে আফগানিস্তান দখল নেওয়ার পর তালিবান যে বার্তা দিলেও তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল কারণ এখন তারা নিজেদের পুরনো তালিবান বলতে রাজি নয়। আফগানিস্তানকে যাতে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর বলে ভাবা না হয়, তার চেষ্টা করছে তালিবান। তবে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে তাদের বক্তব্য হয়তো কিছুটা স্বস্তি দেবে নয়াদিল্লিকে।
আরও পড়ুন: তালিবান সমস্যা, বাসভবনে তড়িঘড়ি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
গতকাল আফগানিস্তান ইস্যু নিয়ে নিজের বাসভবনে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আটকে পড়া ভারতীয়দের কী ভাবে দেশে ফেরানো হবে তাই নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে ইতিমধ্যে প্রায় ১,৭০০ ভারতীয় দেশে ফেরার আবেদন জানিয়েছে এবং তাদের উদ্ধার করতে চার্টার্ড বিমান ভাড়া করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।