কাবুল: দীর্ঘ কুড়ি বছর পর আফগানিস্তান দখল করে ইতিমধ্যেই একাধিক ফতোয়া জারি করেছে তালিবান। আফগান নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মূলত নারীদের স্বাধীনতা কার্যত ছিনিয়ে নিয়েছে তালিবান। অগাস্ট মাসে আফগানিস্তান দখল করে নেওয়ার পর তালিবানের কারণে কার্যত নাজেহাল অবস্থা কাবুলিওয়ালার দেশের। আর্থিক পরিস্থিতি থেকে শুরু করে সামাজিক পরিস্থিতি নষ্ট হয়েছে, এমনকি আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হয়েছে তারা। একের পর এক বিতর্কিত নির্দেশিকার পর একবার ফের চাঞ্চল্যকর নির্দেশ জারি করেছে তালিবান। বিদেশি মুদ্রার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে তারা।
জানা গিয়েছে, গোটা আফগানিস্তান জুড়ে বিদেশি মুদ্রা ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান। এই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই সরকারিভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে তালিবান এও ঘোষণা করেছে, তাদের নির্দেশ অমান্য করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে তারা। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গোটা আফগানিস্তান জুড়ে যে কোনও লেনদেন হবে আফগানি টাকাতেই। দোকানদার থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ বিদেশি মুদ্রা ব্যবহার না করে। আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মার্কিন ডলার এবং পাকিস্তানি মুদ্রা দ্বারা লেনদেনের চল ছিল। কিন্তু এখন সেই সব কিছু বন্ধ করে দিচ্ছে তালিবান। কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল যে আফগানিস্তান প্রচন্ডভাবে আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে এবং সাধারণ মানুষ বাড়ির আসবাবপত্র শুরু করে যাবতীয় জিনিস বিক্রি করে দিচ্ছে জলের দরে। আর্থিক দুরবস্থা থেকে মুক্তি পেতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিবান বলে জানা গিয়েছে।
আসলে আফগানিস্তান দখল করার পর তালিবানকে অন্যান্য দেশ কোন ভাবে সাহায্য করতে চাইছে না। শুধুমাত্র পাকিস্তান এবং চিন ছাড়া এখনো পর্যন্ত কোন দেশ সেই ভাবে তালিবানকে সমর্থন করবে বলে প্রকাশ্যে আসেনি। এদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জও এই ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। তাই আফগানিস্তানের সংকট যে এখনই কাটছে না তা জলের মত পরিষ্কার।