লকডাউন তো কী? সৈকতে চলছে দেদার ফুর্তি, শিকেয় সামাজিক দায়িত্ব!

লকডাউন তো কী? সৈকতে চলছে দেদার ফুর্তি, শিকেয় সামাজিক দায়িত্ব!

সিডনি: একদিকে গোটা বিশ্ব জুড়ে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, অন্যদিকে সিডনি বিচ জমজমাট। পর্যটকরা ঘুরতে যাচ্ছেন। বিচে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন। কখনও বা কফি শপে সময় কাটাচ্ছেন। সব মিলিয়ে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে সিডনি বিচ।

শনিবার সকাল থেকেই উত্তর সিডনির মানলি বিচে ভিড়। কেউ দাঁড়িয়ে গল্পগুজব করছেন, কেউ কফি খাচ্ছেন, কেউ আবার জগিং, সুইমিংয়েও ব্যস্ত। সারা বিশ্বে যে করোনা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার ছিটেফোঁটা বোঝার উপায় নেই। এদিকে একদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের নিয়ম মানার নির্দেশ দিয়েছেন। ১৩ বছরের কিশোর রেইড শা জানিয়েছে, 'এখানে কোনও ফারাকই নেই। অন্য দিনগুলোর মতো একই অবস্থা।'

রেইডের বাবা ক্রিস শা বলেন, ' গত সপ্তাহে এখানে কিছু লোক আটকে পড়েছিলেন। তবে আমি আশাবাদী যে, কোভিড ১৯ ভাইরাসটি কতটা ভয়াবহ, সেই সম্পর্কে মানুষের ধারণা জন্মাচ্ছে।' ২৬ বছরের এক তরুণী, জনা বলেন, 'এখানে লোকজন নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে ব্যস্ত। সংক্রমণ র্যুখতে জারি হওয়া নিয়ম তাঁরা মানছেন না। এত ভিড় যে এখানে হাঁটা সুরক্ষিত মনে হচ্ছে না আমার।' ৩৩ বছরের ক্যাট বলেন, 'সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে এখনও সংশয় রয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই যে, এই পরিস্থিতিতে বাইরে যাওয়া উচিত না কি ঘরবন্দি থাকা।' তিনি আরও বলেন, 'আমি ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছি না। তবে আমার জন্য যদি কেউ সমস্যায় পড়েন, তাহলে খারাপ লাগবে।' এরই মধ্যে ব্রাজিলের লিসিয়েন বাতিস্তা বলেন, 'যদি সবাই প্রকৃত নিয়ম অনুসরণ করে, তাহলে করোনার প্রকোপ থেকে আমরা সহজেই রেহাই পেতে পারি।'

অস্ট্রেলিয়ায় ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০০ ছাড়িয়েছে। মৃত্যুও অন্তত ৩০। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) তথা সরকারি নিয়ম অমান্য করে বিচে সময় কাটানোর বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছে না বিশ্ববাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *