সিডনি: আতসবাজি আর রঙিন ফানুসে বর্ষবরণের অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব৷ রাতভর হুইহুল্লোড়, পার্টির পথে কাঁটা অবশ্য কোভিড৷ তা সত্বেও নতুন বছরকে সাদর অভ্যর্থনা জানাতে কোনও কসুর রাখবে না বিশ্ববাসী৷ প্রতি বছর চোখ ধাঁধানো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় সিডনি৷ অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ হয় নিউ ইয়ারের উদযাপন৷ বর্ষবরণের রাতে হারবার ব্রিজ ও অপেরা হাউজে হয় বিশ্বের অন্যতম সেরা আতসবাজির প্রদর্শন৷ যার মধ্যে দিয়েই নতুন বছরকে বরণ করে নেয় শহর সিডনি৷
আরও পড়ুন- বিপুল সংখ্যক শিশুরা আক্রান্ত করোনায়, আমেরিকা জুড়ে আতঙ্ক
যদিও গত বছর করোনার দাপটে সারা বিশ্ব দেখেনি সিডনির আতসবাজির ঝলক৷ তবে আজ রাতে শিল্পী ব্ল্যাক ডগলাসের তৈরি আতশবাজি দিয়ে শুরু হবে উৎসব। মধ্যরাতের সিডনি হারবার ব্রিজ, অপেরা হাউস ও বন্দরের বার্জগুলো থেকে আকাশে ছোড়া হবে একের পর এক আতসবাজি। ২টি প্রদর্শনে প্রায় ৬ টন আতশবাজি ফোটানো হবে। উল্লেখ্য প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন থিমে আতসবাজি পোড়ানো হয়৷ এ বছরের সিডনিতে আতশবাজি প্রদর্শনের থিম হল ‘See Sydney shine’।
সিডনি হারবার ব্রিজের উপরে, সামনের দিকে এবং পাশ থেকে ২৫ হাজারেরও বেশি শুটিং এফেক্ট চালানো হবে। ৫টি ভাসমান বার্জ থেকে ৯ হাজার শেল উৎক্ষেপণ করবে এবং সিডনি অপেরা হাউসের উপর থেকে আরও ৬ হাজার আতশবাজি পোড়ানো হবে৷ এ বছর সিডনি হারবার শো তৈরির ২৫ বছর পালন করবেন আতশবাজি শিল্পী ফরচুনাতো ফোটি৷ তাঁর কথায়, ‘‘সিডনিতে বর্ষ শেষের দিন সকলেই উচ্ছ্বসিত থাকে৷ আমি নিশ্চিত কেউ হতাশ হয়ে ফিরবেন না৷’’
এ বছর উৎসব দেখার জন্য কত মানুষ আসবেন তা সঠিক ভাবে বলা না গেলেও বিভিন্ন স্থান মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে৷ টিকিটের দাম ৪৩ ডলার থেকে ১৫৬ ডলার৷ তবে করোনার দাপটে এবার দর্শক কিছুটা কম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷