বার্ন: সাধারণ মানুষ কখনও ভাবতে পারেনি যে এই ধরনের যন্ত্র কোনও দিন আবিষ্কার হতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানের যুগে আজ সবকিছু সম্ভব। তবে যন্ত্র আবিষ্কারের থেকেও বড় কথা, এই যন্ত্র মানুষ কাজে লাগাবে এটা ভাবতেও অবাক লাগে। কারণ আবিষ্কৃত হয়েছে আত্মহত্যা করার যন্ত্র! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আর এর থেকেও বড় আশ্চর্যজনক বিষয়, এই যন্ত্রকে বৈধতা দিয়েছে সুইজারল্যান্ড।
জানা গিয়েছে, সুইজারল্যান্ড এই আত্মহত্যা করার যন্ত্রকে বৈধ বলে জানিয়েছে। এই যন্ত্র এক মিনিটের মধ্যে ব্যথাহীন মৃত্যু দিতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক হইহই শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে কারণ অধিকাংশ মানুষ এর বিরোধিতা করছে চরমভাবে। তবে নেতিবাচক ইস্যু হলেও এই যন্ত্র নিয়ে চর্চা কিন্তু এখন তুঙ্গে। জানানো হয়েছে, এই যন্ত্র একজন শোওয়ার মতো ব্যবস্থা রয়েছে। যিনি আত্মহত্যা করবেন তার মৃত্যুর কারণ হবে ‘হাইপোক্সিয়া’ ও ‘হাইপোক্যাপনিয়া’। অক্সিজেন মাত্রা কম করে দেওয়ার ফলে মৃত্যু ঘটবে। এমনকি যন্ত্রের ভেতর থেকেও এটি ব্যবহার করা যাবে শুধুমাত্র চোখের পলক নাড়ালেই। পুরো যন্ত্রটি একটি বিচিত্র কফিনের মতো দেখতে, বলা যেতে পারে এটি একটি বিশাল বড় ক্যাপসুল। আর এই যন্ত্রের ভাবনা যার তিনি হলেন ডাক্তার ফিলিপ নিটসচেক্, একটি non-profit সংস্থার ডিরেক্টর, যাকে আবার ‘ডক্টর ডেথ’ বলা হয়।
বিষয় হল, ‘ইউথেনেশিয়া’ বা স্বেচ্ছামৃত্যু সুইজারল্যান্ডে বৈধ এবং গত বছর প্রায় ১,৩০০ মানুষ এইভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাই এই ধরনের আত্মহত্যার যন্ত্র যে সেই দেশে কাজে লাগবে তা কার্যত নিশ্চিত যন্ত্রের আবিষ্কর্তা। যদিও এই যন্ত্র যে পদ্ধতিতে তৈরি হয়েছে এবং যেভাবে এই যন্ত্রে থাকাকালীন ব্যক্তির মৃত্যু হবে তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন যে এটি এক ধরনের গ্যাস চেম্বার যার গুণগান করা হচ্ছে।