নয়াদিল্লি ও করাচি: ভারত-পাক সীমান্ত উত্তেজনা যখন আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছে, ঠিক তখনই দুই হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে৷ গোটা ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়তেই ভোটের বাজারে ফের তপ্ত দেশের রাজনীতি৷
হিন্দু তরুণীকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করার ঘটনায় ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। পাকিস্তানের ভারতীয় দূতাবাসের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন স্বয়ং বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ট্যুইট করে বিদেশমন্ত্রী মিডিয়া রিপোর্টের কিছু অংশ তুলে ধরে জানান, দূতাবাসের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি৷
Mr.Minister @fawadchaudhry – I only asked for a report from Indian High Commissioner in Islamabad about the kidnapping and forced conversion of two minor Hindu girls to Islam. This was enough to make you jittery. This only shows your guilty conscience. @IndiainPakistan
— Chowkidar Sushma Swaraj (@SushmaSwaraj) March 24, 2019
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, হোলির উত্সব চলাকালীন দুই হিন্দু কিশোরীকে অপহরণ করা হয়৷ ওই দুই নাবালিকাকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয় বলে অভিযোগ৷ চাঞ্চল্যকর অভিযোগে সরব সিন্ধের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশ৷
জানা গিয়েছে, সিন্ধের ঘোটকি থেকে রবীনা ও রিনাকে তুলে নিয়ে যায় হয়৷ অপহরণের অভিযোগ দিতে অস্বীকার করে পুলিশ৷ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পাক পুলিশের বিরুদ্ধে পথে নামেন হিন্দুরা৷ স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা মুখি শিব মেঙ্গওয়ারের অভিযোগ, ওই দুই নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে৷ যদিও করাচির কেন্দ্রীয় পুলিশের তরফে থেকে বলা হয়, যে দুই কিশোরী অপহৃত বলে দাবি করা হচ্ছে, তারা একটি ভিডিয়ো করে। সেই ভিডিয়োয় তারা জাানায়, স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়ে তারা ইসলাম ধর্ম নিয়েছে। কেউ তাদের উপর জোর খাটায়নি৷