বস্টন: হিমশৈলে ধাক্কা মেরে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যাওয়া সেই ‘টাইটানিক’ জাহাজ নিয়ে ১১১ বছর পরেও কৌতূহল কিছু কম হয়নি। এখনও সেই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ মহাসাগরের গভীরে রয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সেই ধ্বংসাবশেষ চাক্ষুষ করতে গিয়েই বড় বিপত্তি ঘটে গেল। ‘টাইটানিক’ দেখতে যাওয়া এক পর্যটকবাহী সাবমেরিন ‘নিখোঁজ’ হয়ে গেল মহাসাগরের গভীরে। ‘টাইটান’ নামের সাবমেরিনটিতে আছেন ব্রিটেনের কোটিপতি ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং সহ ৫ জন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এখন এর খোঁজ চলছে।
নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস থেকে যাত্রা শুরু করেছিল সাবমেরিনটি। জানা গিয়েছে, তাতে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন আছে। তবে অনুমান, এতক্ষণে ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন বাকি থাকতে পারে। শেষ ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সাবমেরিনটির কোনও খোঁজ মিলছে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকরা বেঁচে আছেন কিনা সে নিয়ে সন্দেহ এবং আশঙ্কা দুইই বাড়ছে। বিবিসি সূত্রে খবর, টাইটানিক দেখতে যাওয়ার ওই যাত্রা ছিল মোট আট দিনের। যেখান থেকে সাবমেরিনটি যাত্রা শুরু করে সেখান থেকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”Drinking cold water? | অতিরিক্ত গরমে ঠান্ডাজল খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?” width=”853″>
সাবমেরিনের তল্লাশি চালানো হচ্ছে পর্যটন সংস্থা ‘ওয়ানগেট’-এর তরফে। তারাই সাবমেরিনে টাইটানিক দর্শনের আয়োজন করেছিল। এছাড়া আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং কানাডার সেনা এই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। খবর অনুযায়ী, এই সাবমেরিনে প্রতি টিকিটের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ২ কোটিরও বেশি। যানটির ভিতরে পাঁচ জন যাত্রীর চার দিন চলার মতো অক্সিজেন মজুত ছিল।