বিক্ষোভে পুড়ছে শ্রীলঙ্কা, পলাতক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রনিল বিক্রমসিংহ

বিক্ষোভে পুড়ছে শ্রীলঙ্কা, পলাতক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রনিল বিক্রমসিংহ

2e4c2d6ed9a0768e3828f3b63556b4aa

কলম্বো: আর্থিক সংকটে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা৷ গণবিক্ষোভের মুখে পলাতক রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে৷ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন কব্জা করেছে বিক্ষোভকারীরা। এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে ইস্তফা দিলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ৷ কুর্সিতে বসার দু’মাস যেতে না যেতেই ইস্তফা দিলেন তিনি৷ শনিবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে প্রথমে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন রনিল। একটি টুইট করে তিনি বলেন, ‘‘সকলের কাছে আমার আহ্বান, দেশের স্বার্থে এবং সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় একটি সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হোক৷” এর পরেই পদত্যাগ করেন তিনি৷ দেশের সঙ্কটের সমাধানে শনিবার সর্বদলীয় বৈঠকও ডাকেন তিনি৷ 

আরও  পড়ুন- শিনজো আবের মতোই প্রাণঘাতী হামলার শিকার যে সকল রাষ্ট্রনায়ক-দেশনেতারা

 

এদিকে জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে এই মুহূর্তে দেশে ফিরতে রাজি নন। তিনি পদত্যাগেও রাজি নন৷ পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি সমুদ্রবক্ষে জাহাজেই থাকতে চান বলে সূত্রের খবর৷ এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সকল ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে রাজাপক্ষের বাড়ির সুইমিং পুলে মাতামাতি করছেন অসংখ্য নাগরিক। তাঁরা ঢুকে পড়েছেন প্রেসিডেন্টের বেডরুমেও৷ 

গত কয়েক মাস ধরেই আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় গণবিক্ষোভ চলছে। এই বিক্ষোভের জেরে আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নেন রনিল বিক্রমসিংহ। কিন্তু দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্কট কাটেনি৷ প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের ইস্তফার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধী নেতা সাজিত প্রেমদাসা।

এরই মধ্যে শুক্রবার থেকে দ্বীপরাষ্ট্রে নতুন করে শুরু হয় বিক্ষোভ৷ বাসে, ট্রেনে, গাড়িতে করে দলে দলে লোক রাজধানী কলম্বোয় আসতে থাকে। বিপদ আঁচ পেয়ে শুক্রবার রাতেই প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায় সে দেশের সেনা। শনিবার সকালে ব্যারিকেট ভেঙে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে পড়েন জনস্রোত৷