ক্যানবেরা: ‘ভিকি ডোনার’! গতে বাঁধা ছবির ছক ভেঙে এক নতুন গল্প শুনিয়েছিলেন সুজিত সরকার৷ যেখানে একজন স্পার্ম ডোনারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আয়ুষ্মান খুরানা৷ অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা অ্যাডাম হুপারের গল্পটাও খানিকটা তেমনই৷ তিনিও স্পার্ম ডোনার৷ শুক্রাণু দান করাই তাঁর নেশা!
আরও পড়ুন- অথৈ জলে রাজাপক্ষে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ সিঙ্গাপুর সরকারের
৩৭ বছর বয়সি অ্যাডাম ইতিমধ্যেই অন্তত ২০ সন্তানের বাবা। কিন্তু, এতটুকুতেই সন্তুষ্ট নন অ্যাডম৷ আরও সন্তানের জন্ম দেওয়ার ইচ্ছা বুকে নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন শহরে একটি সফর শুরু করেছেন তিনি৷ এই সফরের নাম ‘বেবি মেকিং ট্যুর’!
নেটমাধ্যমে শুক্রাণু দান সংক্রান্ত একটি গ্রুপও চালান অ্যাডম। সেই গ্রুপের সদস্য সংখ্যাও নেহাত কম নয়৷ তা প্রায় ১৫ হাজার হবে! অ্যাডামের দাবি, এই গ্রুপের মাধ্যমেই তিনি নাকি ৯০০ মহিলাকে মা হতে সাহায্য করেছেন৷ অ্যাডামের এই গ্রুপে রয়েছেন একাধিক চিকিৎসকও৷ তাঁর পাশাপাশি গ্রুপের অন্যান্য সদস্যরাও এই কাজে তাঁকে সহায়তা করে বলেই দাবি তাঁর৷
তবে অ্যাডামের এই উদ্যোগে মোটেই খুশি নন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ অনেকেই মনে করেন এই ধরনের সম্মেলনে কোনও প্রশাসনিক নজরদারি থাকে না। ফলে সেখানে কোনও আইনবিরুদ্ধ কাজ চলছে কি না, তা জানা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আইনের দিক থেকে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে জন্মানো সন্তানের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাঁর আসল পিতৃপরিচয় গোপন রাখার কথা। এই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে, গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়।
যদিও এসব আলোচনায় কান দিতে নারাজ অ্যাডাম৷ তাঁর স্পষ্ট কথা, তিনি সমাজসেবা করছেন। সন্তান চান, এমন মহিলাদের তিনি সন্তানসুখ দিচ্ছেন, এর মধ্য অন্যায় কিছু নেই। তাঁর ঔরসে প্রাণ পেয়েছে কত পরিবার৷
অ্যাডমের মতো আরও এক স্পার্ম ডোনার হলেন কইল গর্ডি৷ যিনি ৪৬টি সন্তানের পিতা৷ আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়ার বাসিন্দা কইলও পেশায় স্পার্ম ডোনার৷ সুস্থ-সবল সন্তানের জন্য ব্রিটেন এবং আমেরিকার বহু দম্পতি নাকি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সম্প্রতি কেমব্রিজের একটি লেসবিয়ান দম্পতিকেও তিনি সন্তানধারণে সাহায্য করেছেন৷ ২০১৪ সালে প্রথমবার স্পার্ম ডোনেট করেন কইল৷ তাঁর কথায়, এজন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয় তাঁকে। শরীরের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হয়। কোনও ধরনের জাঙ্ক ফুড স্পার্মকে নষ্ট করতে পারে। যার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে শিশুর শরীরে। সে সব দিকে নজর রেখেই চলতে হয় তাঁকে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>