করোনাকে বিদায়, ঠোঁটে-ঠোঁট রেখে উল্লাস, স্পেনের রাজপথে হই-হুল্লোড়!

করোনাকে বিদায়, ঠোঁটে-ঠোঁট রেখে উল্লাস, স্পেনের রাজপথে হই-হুল্লোড়!

মাদ্রিদ: করোনা সংক্রান্ত সরকারি বিধি নিষেধ উঠে যাওয়ায় রাস্তায় নেমে হই-হুল্লোড়ে মেতেছে সাধারণ মানুষ। ভারতে বর্তমানে এই ছবি দু:স্বপ্নেও কল্পনা করার মতো নয়৷ এটি কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ স্পেনের রাস্তার ছবি৷  অথচ কয়েক মাস আগেও দক্ষিণ পশ্চিম ইউরোপের এই দেশটির অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। কিন্তু তারপর থেকে নিখুঁত পরিকল্পনা করে অনেকটাই সাফল্য পেয়েছে স্প্যানিশ সরকার। ভারতের মত বিশাল জনসংখ্যার দেশে যে ব্যাপারটা করা অত্যন্ত কঠিন, স্পেনে সেটা করা তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, সব নিয়ম শিথিল না হলেও, মানুষের দৈনন্দিন জীবন অনেকটাই স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর মানুষের কাছে এটা যেন এক টুকরো মুক্ত বাতাস। করোনা নামক অতিমারি নিয়ন্ত্রণে আসায় কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে স্পেন সরকার। এই খবর পেতেই রাস্তায় নেমে উৎসবে মেতেছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ। তাঁরা নাচে গানে মেতে এই দিনটি উদযাপদন করেন। তাঁদের কাছে এটা স্বাধীনতা পাওয়ার মতোই৷ তাই অনেককেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ‘স্বাধীনতা, স্বাধীনতা’ বলে স্লোগান দেয়। খবরে বলা হয়, শনিবার রাজধানী মাদ্রিদের পুয়ের্তা দেল সল স্কোয়ারে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের মতো করে তাঁরা সেখানে নাচে গানে মেতে ওঠেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন তরুণ। তবে উৎসবে যোগ দিয়েছেন অনেক বয়স্ক মানুষও। উৎসবে মোতে উঠেছিল বার্সেলোনার মানুষও। সেখানে শয়ে শয়ে মানুষ সমুদ্র তীরে বিচ পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। যদিও কার্ফিউয়ের সময় আরও ২ ঘন্টা বাকি থাকায় কিছু জায়গায় পুলিশি কড়াকড়ি ছিল। তবে রাত ১২ টার পরেই মানুষের ঢল নামে রাস্তায়। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে নাচ গানেন মেতে ওঠেন তরুণরা।

২৮ বছর বয়সি পাউলা গার্সিয়া বলেন, ‘আমাদের মতো তরুণরা গত কয়েকদিন ধরে আটকে গিয়েছিলাম বাড়িতে৷ এখন আমরা এই গ্রীষ্মটা উপভোগ করার স্বাধীনতা পেয়েছি৷’ স্পেনের জনপ্রিয় খেলা ফুটবল চালু আছে, যদিও দর্শকদের মাঠে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না৷  কিন্তু বুল ফাইটিং আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্প্যানিশ সরকার প্রতিটা পদক্ষেপ খুব বুঝেশুনে ফেলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *