দিনে তিনবার সঙ্গমের ইচ্ছা জাগত এই মার্কিন ধনকুবেরের, রোজ খোঁজ পড়ত নতুন প্রেমিকার

দিনে তিনবার সঙ্গমের ইচ্ছা জাগত এই মার্কিন ধনকুবেরের, রোজ খোঁজ পড়ত নতুন প্রেমিকার

নিউইয়র্ক: আমেরিকার অন্যতম ধনকুবের জেফ্রি এডওয়ার্ডের নাম শুনেছেন? অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন৷ তবে তাঁর পরিচিতি ধনকুবের হিসেবে নয়, বরং তিনি ‘খ্যত’ একজন যৌন অপরাধী হিসাবে৷ যাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন অন্তত ৪০ জন মহিলা৷ তাঁরা সকলেই জেফ্রি এডওয়ার্ডের যৌন লালসার শিকার৷ ১৮ পেরনোর আগেই জেফ্রির ইন্দ্রিয়াসক্তির শিকার হয়েছেন তাঁরা৷ 

আরও পড়ুন- শতক শেষে কমবে বিশ্বের জনসংখ্যা, কিন্তু কীভাবে? চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষণায়

জেফ্রি

এই নির্যাতিতাদের বয়ানেই প্রকাশ্যে এসেছে জেফ্রির কামাতুর রূপ৷ জেফ্রি কতটা ভয়ঙ্কর ইন্দ্রিয়াসক্ত ছিলেন তা তাঁদের বর্ণনাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ অর্থের জোরে বারবার নাবালিকাদের অপরিপক্কতার সুযোগ নিয়ে নিজের যৌন লিপ্সা পূর্ণ করেছেন জেফ্রি৷ কখনও জোর করে, কখনও ভয় দেখিয়ে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন৷ কিন্তু কেন তিনি এমনটা করতেন, সেই উত্তর কেউই খুঁজে পাননি৷ 

পরে অবশ্য লালসা পূরণ করতে গিয়েই গ্রেফতার হন জেফ্রি৷ দোষী প্রমাণিত হওয়ায় জেল হয় তাঁর৷ বছর দু’য়েক আগে জেলের ভিতরেই আত্মহত্যা করেন এই ইন্দ্রিয়াসক্ত ধনকুবের৷ তাঁর মৃত্যুর দু’বছর পর প্রকাশ্যে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর সত্য৷ যা তাঁর চরিত্রকে আরও স্পষ্ট করেছে৷  জেফ্রির বিরুদ্ধে হওয়া নাবালিকাদের যৌন হেনস্থার মামলা চলছে৷ এরই মধ্যে এই সকল ঘটনায় তাঁর প্রেমিকার হাত ছিল বলে অভিযোগ তুলে নতুন একটি মামলা শুরু হয়েছে। সেই মামলায় সম্প্রতি সাক্ষ্য দেন কেট নামে এক মহিলা। এটি অবশ্য তাঁর ছদ্মনাম৷ কেটের দাবি, তাঁকেও একসময় জেফ্রির যৌন লালসার শিকার হতে হয়েছিল৷ তখন তিনি কলেজ পড়ুয়া৷ জেফ্রির সঙ্গে যখন তাঁর আলাপ হয় তিনি তখন প্রাপ্তবয়স্ক৷ জেফ্রির সঙ্গে তাঁর আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরই প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল৷ 

জেফ্রি

কেট বলেন, ম্যাক্সওয়েল তাঁকে বলেছিলেন, জেফ্রি নাকি মেধাবীদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সাহায্য করেন৷ কেট সেই সময় নিজেকে সঙ্গীতকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই করছেন৷ সঙ্গীত নিয়ে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন। তাঁর মনে হয়েছিল জেফ্রির সঙ্গে এই আলাপ তাঁকে সাহায্য করবে৷ কিন্তু জেফ্রির সঙ্গে দেখা করার জন্য কেটকে জোর করেছিলেন ম্যাক্সওয়েলই৷ প্রথম সাক্ষাতেই তাঁকে দিয়ে ফুট মাসাজ’ করানো হয়েছিল৷ এক দিন  ঊর্ধ্বাঙ্গে ম্যাসাজও করিয়েছিলেন৷ তবে কেটের মনে হয়েছিল জেফ্রিকে খুশি করতে তিনিই উপকৃত হবেন৷ কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই ভুল ভাঙে৷ একদিন শুধুমাত্র জেফ্রির ম্যাসাজের জন্য কেটকে ডেকে পাঠান তাঁর প্রমিকা এবং তাঁদের একটি ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি৷ সেই সময় একটি তোয়ালে ছাড়া আর কিছুই ছিল না জেফ্রির শরীরে৷ জেফ্রি তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করতেই চিৎকার করে দরজা ধাক্কাতে শুরু করেন কেট৷ ম্যাক্সওয়েল এসে তাঁক উদ্ধার করেন৷ 

জেফ্রি

পরে ম্যাক্সওয়েল কেটকে আলাদা ভাবে ডেকে জেফ্রির সমস্যর কথা জানিয়েছিলেন৷ কেট আদালতকে বেলন,  ‘‘ওই দিন জেফ্রির প্রেমিকা নিজে আমাকে সেদিন বলেছিলেন, ওঁর (জেফ্রির) যৌন চাহিদা অত্যন্ত বেশি। দিনে অন্তত তিনবার যৌন মিলনের ইচ্ছা হয়৷ একা তাঁর পক্ষে সেই ইচ্ছা সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না৷’’ সেই কারণেই কেটের মতো অনেকেরই শরণাপন্ন হতেন অসহায় ম্যাক্সওয়েল৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − seven =