ওয়াশিংটন: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউয়ের রক্তচক্ষু থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছিল বিশ্ব ঠিক তখনই নতুন এক প্রজাতির আবির্ভাব ঘটেছে। ওমিক্রন নিয়ে এখন বিস্তর চর্চা এবং আতঙ্ক, উদ্বেগ। ডেল্টা প্রজাতির থেকে বেশি সংক্রামক মনে করা হচ্ছে এই প্রজাতিকে তাই সারা বিশ্বজুড়ে করা সতর্কবার্তা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই প্রেক্ষিতেই এবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বিশ্বব্যাপী অতিমারি চুক্তির। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে এই চুক্তির প্রয়োজনীয়তা পড়বে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ধরা পড়া করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতি নিয়ে এখন সারা বিশ্ব তোলপাড়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বিশ্ব নেতারা বৈঠক করে ফেলেছেন এই ইস্যুতে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি না হয় তাই জন্য নতুন আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে বলে সূত্রের খবর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, গোটা পৃথিবী এখন কতটা অনিশ্চিত এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা করোনাভাইরাসের এই নতুন প্রজাতি বুঝিয়ে দিচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক চুক্তির এবং আগ্রাসী টিকাকরণ অভিযানের যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এক্ষেত্রে যে সমস্ত দেশে করোনাভাইরাস টিকাকরণ পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়নি সেই সব দেশ এই চুক্তির ভেতরে আসতে চাইবে। এদিকে যে সমস্ত দেশ এখনো টিকাকরণে পিছিয়ে তাদের বেশি করে বোঝাতে হবে যে যতক্ষণ সকলের টিকাকরণ না হচ্ছে ততক্ষণ কেউ সুরক্ষিত নয়।
যদিও এই আন্তর্জাতিক চুক্তির ইস্যুতে ইতিমধ্যেই দুই ভাগ হয়ে গিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল। একাংশ মনে করছে এই চুক্তির কারণে অতিমারির সময়ে করা একাধিক ভুল চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। আবার অন্য দল মনে করছে উপযুক্ত পরিকাঠামোর নেই বা গরিব দেশ গুলি আরো বেশি করে শক্তিশালী দেশের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাবে। তাছাড়া রাশিয়া এবং চিনের মতো দেশ এই চুক্তি গ্রহণ করবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশে টিকা বণ্টনে ভয়াবহ বৈষম্যের চিত্র ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল।