ঢাকার এতো এতো সাংবাদিক খুনী? “নতুন বাংলাদেশ” এর মহিমা দেখুন

দিল্লি: ঢাকার প্রায় ১৫০ জন সাংবাদিক, সবাই খুনের আসামী?করা হচ্ছে কণ্ঠরোধ! কবি-সাহিত্যিকের উপরেও ঝুলছে খাঁড়া।স্বাধীন বাংলাদেশের এই নমুনা? ইউনূস সরকারের কী মহিমা! মনে পড়ে? বাংলাদেশের…

ইউনূস

দিল্লি: ঢাকার প্রায় ১৫০ জন সাংবাদিক, সবাই খুনের আসামী?করা হচ্ছে কণ্ঠরোধ! কবি-সাহিত্যিকের উপরেও ঝুলছে খাঁড়া।স্বাধীন বাংলাদেশের এই নমুনা?

ইউনূস সরকারের কী মহিমা! মনে পড়ে? বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস সম্প্রতি একটা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “এই সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য সংবাদমাধ্যম স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারছে। তারা সরকারের যত খুশি সমালোচনা করতে পারছে।”

অথচ, ভেতরের খবর হল। সেই দেশেই ঢাকার এক দল সিনিয়র সাংবাদিক এখন পুলিশের দেওয়া মনগড়া মামলায় গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। আর বাকিরা ইউনূসের কথা শুনে হাসছেন। অনেক সাংবাদিকই বলছেন মিথ্যা মামলায় হেনস্থা হওয়ার জন্য কে এই সরকারের সমালোচনা করতে যাবে? সাংবাদিকদের পরিস্থিতি এখন এমন যে যখন তখন খুনের মামলা জুটে যেতে পারে। শুনতে অদ্ভুত শোনালেও, এটাই তো বাস্তবে ঘটছে বাংলাদেশে।

শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে যেদিন বাংলাদেশ ছাড়লেন, সেদিন বাংলাদেশের মানুষ নাকি নতুন করে স্বাধীনতা খুঁজে পেয়েছিল। বলেছিল এটাই ‘নতুন বাংলাদেশ’! তারপর যত সময় গড়িয়েছে ততই স্বাধীন এবং নতুন বাংলাদেশের নমুনা গোটা বিশ্বের কাছে একটু একটু করে স্পষ্ট হয়েছে। আর ভারত একদম পাশের দেশ হয়ে এই নমুনার সাক্ষী থেকেছে, থাকছে। নয়া দিল্লির রণকৌশলগত বিশেষজ্ঞ মহল বলছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক কাজকর্মে যা ফুটে উঠছে তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ মৌলবাদীদের নতুন স্বর্গরাজ্যে পরিণত হচ্ছে। কথাটা কতখানি সত্যি? তার প্রমাণ মিলতে শুরু করেছে। শুধু যে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে জামাতে ইসলামী হিন্দুদের দেশ ছাড়া ও প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে দলে দলে যোগ দেওয়াচ্ছে, ধর্মান্তকরনের ফর্মে স্বই আদায় করছে, মৌলবাদীদের চাপের মুখে কার্যত হিন্দুরা গুটিয়ে রয়েছে, ভেতরে ভেতরে বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার ছক কষা হচ্ছে, এমনটাই নয়। এই নতুন বাংলাদেশে এখন কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে সাংবাদিকদের! কবি-সাহিত্যিকদের উপর ঝুলছে খাঁড়া!

সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি মামলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন লেখক শাহরিয়ার কবির। অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা বলে দিয়েছেন, ফ্যাসিবাদী কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কিন্তু কারা ফ্যাসিস্ট? এই বিচার কে করবে? এটাই কি ‘স্বাধীন’ বাংলাদেশ? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। হ্যাঁ, লড়াই ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। যে উদ্দেশ্যে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রূপ নেয় গণ আন্দোলনে। তারপর ছাত্র-জনতার দাবি পূরণ হয়েছে। সরকারও বদলেছে।

প্রাক্তন শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যে ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম। এখন তিনি মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা।
আর এখনই হিংসার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে হিংসার ঘটনায় ৫২ জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্ত আরও বহু। কবি, সাহিত্যিক, বিশিষ্টজনেরাও আশঙ্কায় রয়েছেন। অলরেডি এই নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নাহিদ ইসলাম। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “যাঁরা বিভিন্ন লেখনী ও মতামতের মাধ্যমে জনমত তৈরি করে গণহত্যার পক্ষে পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন এবং গণহত্যার জন্য উসকানি দিয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। কেবল সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কবি পরিচয়ে কেউ রেহাই পাবেন না। সকলের বিচার করা হবে।” সত্যিই কী শেখ হাসিনাকে সরিয়ে এই বাংলাদেশকেই দেখতে চেয়েছিল ওই দেশটার লক্ষ কোটি মানুষ? সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করার যে স্ট্র্যাটেজি চলছে দেশটাতে, তা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে। ফল ভালো হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে ভয়ে জবুথবু সাংবাদিকরা মুখ খুলতেই চাইছেন না আতঙ্কে।

যদিও, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা খুনের মামলা সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে নাহিদ জানিয়েছেন, “মামলাগুলো সরকার করছে না। জনগণ তাদের জায়গা থেকে করছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত শত্রুতার জায়গা থেকেও মামলা করা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি এবং আশ্বস্ত করেছি যে এই মামলাগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা করা হবে। তদন্ত করে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত না হলে তাঁকে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হবে। আমি তাদের বলেছি, যদি কোনও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয় তাহলে তাঁর ব্যাপারে তথ্য মন্ত্রণালয়ে বিস্তারিত পাঠাবেন। আমরা তাঁর বিষয়টি দেখব।”

কিন্তু, প্রতিটা সত্যি মিথ্যের যাচাই হওয়া। এটাতে কোনো ভুলচুক হলে? নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারলে? কী হবে সেই সাংবাদিক? কবি সাহিত্যিকদের?

এটা তো স্পষ্ট। যারা মৌলবাদীদের অপছন্দের, যারা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জামাত যখনই ক্ষমতার অলিন্দে এসছে, তাঁরা তখনই আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এই বর্তমান সরকারও জামাতের ইশারায় চলছে, এই অভিযোগ খোদ হাসিনার প্রধান প্রতিপক্ষ খালেদা জিয়ার দল বিএনপির। সাধেই কী মৌলবাদ-বিরোধী হিসাবে পরিচিত কয়েকশো মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গত কয়েক সপ্তাহে। সেক্ষেত্রে শুধু মুখে সেকুলারিজমের তত্ত্ব না শুনিয়ে, ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়ে তোলার যা যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন তা কী আদৌ করার উদ্যোগ নেবে ইউনুস সরকার? এই নতুন বাংলাদেশ, স্বাধীন বাংলাদেশ নিয়ে ওপার বাংলার একাংশের মানুষের যে মিথ্যে গর্ব তা নিমেষেই তাসের ঘরের মতো একদিন ভেঙে পড়বে না তো?

 

বাংলাদেশ থেকে উঠে গেল দুর্গাপূজো? ‘টিট ফর ট্যাট নীতি’ মোদী সরকারের

পৃথিবী থেকে ছিটকে গেল লেবানন? গাজার ডিটো! টোটকা জানে ইসরাইল? 

প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি রাজ্য? ৭ দাবিতে চিঠি জুনিয়র ডাক্তারদের

ধর্মতলা চত্বরে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা পুলিশের! নাগরিক আন্দোলন বন্ধ করতে পদক্ষেপ?

জামিন ইস্যুতে কেজরিওয়ালে এক রকম, আর অনুব্রতে ইডির অন্য পদক্ষেপ! ‘সেটিং’ নাকি?

বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর বিজেপির মুখে আবার এনআরসি হুঁশিয়ারি!

রামমন্দিরের পর আরেকটা সেন্সিটিভ ইস্যু! ভোটে জিততে বিজেপির নতুন হাতিয়ার 

জমিনে বাইরে আসা অনুব্রতর কতটা গুরুত্ব থাকবে তৃণমূলে?

আরজি কর কাণ্ডে এবার সিবিআই রাডারে টিএমসিপি নেতা! শীঘ্রই ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ?