ওয়াশিংটন: বিশ্বের আকাশ ছেয়ে গিয়েছে করোনার কালো মেঘে৷ সংক্রমণ ঠেকাতে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশই লকডাউনের আশ্রয় নিয়েছে৷ কিন্তু তাতেও বাগে আসেনি এই ভাইরাস৷ পরিস্থিতি আরও সঙ্গিন হয়েছে৷ সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ৷ এই পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে আমেরিকার শিখ সম্প্রদায়৷ গত সাত সপ্তাহ ধরে প্রায় ২,১০০ টি পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন তাঁরা৷ ওয়াশিং ডিসি মেট্রো এলাকার সিলভার স্প্রিং-এ চলছে তাঁদের কর্মকাণ্ড৷
গুরু নানক ফাউন্ডেশন অফ আমেরিকা গুরুদ্বরার ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবী মিলে চালু করেছে ‘লঙ্গর সেবা’৷ প্রত্যেক রবিবার সকাল হলেই তাঁরা চলে আসেন সিলভার স্প্রিং-এ৷ তবে তাঁরা আসার আগেই লাইন পড়ে যায় মানুষের৷ তাজা ফল, প্যাকেটজাত খাবার নেওয়ার জন্য পৌঁছে যায় ৩০০টিরও বেশি পরিবার৷ সকাল ১১টা নাগাদ শুরু হয় খাবার বিলি৷ কিন্তু সাড়ে ৯টা থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে সিলভার স্প্রিং-এ৷ শুধু শিখ নয়, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ আসেন সাহায্য নিতে৷
গুরু নানক ফাউন্ডেশন অফ আমেরিকার গুরুদ্বরা প্রবন্ধক কমিটির প্রতিনিধি গিনি আলুওয়ালিয়া বলেন, ‘‘সাহায্য পাওয়ার পর ওই মানুষগুলোর মুখের হাসিই সবকিছু বলে দেয়৷ খাদ্য সামগ্রী বিলি করতে পেরে আমরা তাঁদের থেকেও বেশি খুশি৷ আমরা কৃতজ্ঞ৷’’
USA: Guru Nanak Foundation of America Gurudwara, in Silver Spring of Washington Metropolitan Area, has been organising 'Langar' at a drive-thru food distribution zone for past seven weeks. It's organised every Sunday, wherein non-perishable food is given to people arriving here. pic.twitter.com/3ADQg7a1xU
— ANI (@ANI) June 29, 2020
খাদ্য সামগ্রী প্যাকেজিং এবং বিতরণের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়৷ শনিবারই টিমের সদস্যরা একটি ঘরে কেক, কুকিস, ক্র্যাকার, খাবারের কৌট এবং টাটকা ফল এনে জড়ো করেন৷ তারপর সেগুলি প্যাকেটবন্দি করা হয়৷ পরের দিন সেগুলি বিতরণ করা হয় মানুষের মধ্যে৷
USA: Guru Nanak Foundation of America Gurudwara, in Silver Spring of Washington Metropolitan Area, has been organising 'Langar' at a drive-thru food distribution zone for past seven weeks. It's organised every Sunday, wherein non-perishable food is given to people arriving here. pic.twitter.com/3ADQg7a1xU
— ANI (@ANI) June 29, 2020
গিনি জানান, খাবার বিতরণের বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই স্থানীয় মানুষকে জানিয়েছিলেন তাঁরা৷ এই উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামিল হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ৷ তাঁরা নিজে থেকে অনুদান দিয়েছেন৷ স্বেচ্ছাসেবকরা তাঁদের সময় দিচ্ছেন৷ যাঁরা সময় দিতে পারছেন না, তাঁরা অর্থ দিয়ে সাহায্য করছে৷ এভাবেই এগিয়ে চলছে অভিযান৷ এই দলের এক সদস্যের কথায়, ‘‘এখান থেকে কিছু নিতে আসার অর্থ আপনার মর্যাদা কমে যাওয়া নয়৷ বরং আপনি এই উদ্যোগের প্রশসংসা করতে পারেন৷’’