ঢাকা: দেশের মানুষ যখন নিজেদের গৃহবন্দি করে রেখেছেন৷ বার বার সুরক্ষার জন্য তাঁদের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে, ঠিক সেই সময় সংবাদ সংগ্রহের জন্য এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে সাংবাদিক৷ এই পেশার জন্য কখন যে তাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন, তা বুঝতেই পারছেন না৷ এমনই ঘটনা ঘটল বাংলাদেশে৷ কাজের জন্য গিয়েছিলেন হাসপাতালে৷ সাংবাদিকদের চিকিৎসক পরামর্শ দিলেন, যেভাবে করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে, আর যেভাবে আপনাদের বাইরে বের হতে হচ্ছে, আপনারা একবার করোনা পরীক্ষা করা দরকার৷ কোনও উপসর্গ নেই৷ তাও চিকিৎসকের পরামর্শে করালেন করোনা পরীক্ষা৷ দুই সাংবাদিকের মধ্যে এক সাংবাদিকের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাসের জীবানু৷
বাংলাদেশের নরসিংদি জেলায় চিকিৎসক, সাংবাদিক-সহ একদিনে ১৬ জনের শরীরে করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে৷ করোনা আক্রান্ত বাংলাদেশের সাংবাদিকের শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না বলে জানা গিয়েছেন৷ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ওই সাংবাদিক বলেন, ‘রবিবার সকালে জেলার সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি জানতে আরও এক সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে সিভিল সার্জেনের কার্যালয়ে যাই৷ কাজ হয়ে যাোয়ার পরে সিভিল সার্জেন মহম্মদ ইব্রাহিম আমাদের বলেন, সংবাদ সংগ্রহের জন্য আপনাদের অনেক জায়গাতে যেতে হয়৷ তাই একবার করোনা পরীক্ষা করে নিতে পারেন৷ আমরা দুই জনেই করোনার জন্য নমুনা দিই৷ সোমবার আমার পজেটিভ রেজাল্ট এসেছে৷ যদিও অন্য সাংবাদিকের নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে৷ তবে আমার শরীরে করোনার এখনও কোনও উপসর্গ দেখা দেয়নি৷
সিভিল সার্জন মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশেরই শরীরে করোনাভাইরাসের তেমন কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি। তবু ঝুঁকি কমাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সবাইকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রাখা হবে। যাঁরা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে৷ বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে৷ করোনায় মারা গিয়েছেন পাঁচজন৷ যার ফলে বাংলাদেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮০৩৷ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে ভিডিওতে জানানো হয়েছে, করোনায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন জন৷ বাংলাদেশে মোট ৪২ জন করোনায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানা গিয়েছে৷ স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে অনলাইন বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দেশে করোনার পরীক্ষা আগের থেকে অনেক বেশি হারে করা হচ্ছে৷ যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে৷