কলকাতা: মারণ করোনার আতঙ্কে ঘরবন্দি গোটা দেশ। ভয়ে সিঁটিয়ে গোটা পৃথিবী৷ টেলিভিশন বা স্যোশাল মিডিয়ায় একের পর এক দেশের জনবহুল, ব্যস্ততম শহরগুলি জনমানবহীন মৃত্যুপুরীর মতো দেখাচ্ছে। যেখানে ইতালির করোনা বিধ্বস্ত চিত্র সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের। সবমিলিয়ে সত্যিই মারাত্মক মানসিক চাপের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। আর এই পরিস্থিতি করোনা তাঁদের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলেছে, তার একটা ধারণা তৈরি করতে একটি সমীক্ষা শুরু করেছেন ইতালির মিলানের অর্থনীতি ও পরিবেশ সম্পর্কিত ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউটের গবেষকরা৷ সেই গবেষণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বাঙালি গবেষক সৌর দাশগুপ্ত৷
ওই গবেষকদলের সমীক্ষার মূল লক্ষ্য, কোভিড-১৯ কীভাবে বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছে, তা ধারণা তৈরি করা। এটি অত্যন্ত সাধারণ একটি সমীক্ষা৷ এর মাধ্যমে পরিচিতি সংক্রান্ত কোন তথ্য সংগ্রহ করা হবে না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা৷ এই শতকের প্রথম এমন বিশ্বব্যাপী মহামারীর পরিস্থিতির ফলাফলগুলি কেবল পড়াশোনার উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হবে এবং সর্বজনীনভাবে উপলভ্য হবে।
সমীক্ষা সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন থাকলে যোগাযোগ করা যাবে ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউটেরই এক জুনিয়র সায়েন্টিস্ট সোহেল শায়েগের সঙ্গে এই ইমেল আইডিতে- Soheil.shayegh@eiee.org শুধুমাত্র ১৮ বছরের বেশি বয়সীরাই এই সমীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে সমীক্ষার শুরুতেই।
এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের খুব সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। অবশ্য তার জন্য বিকল্প দেওয়া আছে। যেমন-
প্রশ্ন: কোভিড-১৯ এর আপনার দৈনন্দিন জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করছে?
বিকল্প উত্তরে জানতে চাওয়া হয়েছে, ১) আমি কোয়ারেন্টাইনে আছি এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনে বাইরে বেরোবো। ২) আমি কোয়ারেন্টাইনে আছি এবং প্রয়োজন ছাড়াও বাইরে বেরোতে পারি। উদাহরণ স্বরূপ( পার্কে জগিং করতে) ৩) আ আমার ঘোরাফেরা কোন বাধা নেই, কিন্তু কিছু ব্যবসা (পানশালা এবং রেস্তোরাঁ) বন্ধ আছে। ৪) আমার ঘোরাফেরা কোনো বাধা নেই এবং এতে এলাকার জনজীবন প্রভাবিত হবে না।
জানতে চাওয়া হয়েছে, এই পরিস্থিতি আপনার স্কুল-কলেজ ও কর্মক্ষেত্রকে কিভাবে প্রভাবিত করেছে? এই কঠিন পরিস্থিতির জন্য আপনি কাকে দায়ী বলে মনে করেন? এমনই সহজ ,স্বাভাবিক বেশকিছু প্রশ্ন। আপনার নাম বা ফোন নম্বর জানাতে হবেনা। আপনার বয়স, আপনি কোন দেশের আর কোন শহরের জানালেই হবে।
আসলে এই সমীক্ষায় অংশ নিতে গেলে দেখাযাবে, গবেষকদের গবেষণামূলক তথ্য সরবরাহের পাশাপাশি আপনার মনটাও একটু হালকা হবে। কারণ এমন বহু প্রশ্ন যা এই মুহূর্তে বিশ্ববাসীর মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, তাই মন খুলে কথা বলার বা নিজেদের ধারণা জাহির করতে পারছেন সরাসরি গবেষকদের কাছে। যাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা হয়তো খুব তাড়াতাড়ি আমাদের এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
সমীক্ষায় অংশ নিতে এই (https://unibocconi.qualtrics.com/jfe/form/SV_4G8yIxXWdoQ83eR) লিঙ্কে ক্লিক করুন৷