আততায়ী হামলায় আতঙ্ক আমেরিকায়, বন্দুকবাজের এলোপাথারি গুলি নিউইয়র্কের চার্চে

মার্কিন পুলিশের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

2c02feba6f9d0dc4860932942a4ed118

নিউইয়র্ক: আর কয়েক দিনের অপেক্ষা, তারপরই নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে বিশ্ব। ঠিক তার আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের এক চার্চে বন্দুকবাজের হামলা। ম্যানহাটনের সেন্ট জন অফ ডিভাইন চার্চে এলোপাতাড়ি ভাবে গুলি চালাতে শুরু করে এক যুবক। যদিও মার্কিন পুলিশের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এদিকে তাদের পাল্টা হামলায় নিকেশ করা গিয়েছে ওই বন্দুকবাজকে।

সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ এই চার্চের চত্বরে ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কয়েকশো মানুষ। অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই আচমকা সেখানে গুলি চালাতে শুরু করে এক বন্দুকবাজ। আচমকা গুলি চালানোর শব্দ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সেখানে উপস্থিত সকলে। ভয়ের চোটে এদিক-ওদিক ছুটতে শুরু করেন মানুষ। ক্রিসমাস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠান হওয়ায় সেখানে মার্কিন পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিল। আচমকা এই হামলা হওয়ায় তারাও বন্দুকবাজকে ধরতে পাল্টা হামলা করে। কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর পর ওই হামলাকারীকে জখম করতে সক্ষম হয় তারা। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বন্দুকবাজের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও জানা গিয়েছে তার বয়স ৫২ বছর। পরিচয়ের পাশাপাশি কি কারণে তিনি এই হামলা চালিয়ে ছিলেন সেটা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানতে পারেনি মার্কিন পুলিশ। তবে ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই ব্যাগ থেকে কিছু তথ্য হাতে পাওয়া যাবে বলে অনুমান পুলিশের।

মার্কিন পুলিশ সূত্রে খবর, পরিচয় গত কোনো তথ্য না পাওয়া গেলেও ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার হয়েছে আরও দুটি বন্দুক এবং ছুরি। একইসঙ্গে ব্যাগে ছিল গ্যাসোলিন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বন্দুকবাজ সুপরিকল্পিতভাবেই এখানে হামলা চালাতে এসেছিল। তবে সৌভাগ্যবশত তার গুলিতে কেউ আহত বা নিহত হয়নি। ওই বন্দুকবাজের পরিচয় জানতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন পুলিশ। তাদের অনুমান যেভাবে পরিকল্পনামাফিক এই কাজ করা হয়েছে তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ওই বন্দুকবাজের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন হয়তো এই হামলার সঙ্গে জড়িত। ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ এবং গোয়েন্দারা। তবে কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্ক কাটছে না, কারণ বছরশেষের এই সময় সন্ত্রাসবাদীরা আরো হামলার ছক করতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই নিরাপত্তার দিকেও বেশি করে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *