বাংলাদেশে হিন্দু নিগ্রহ: বিরোধী চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার

বাংলাদেশে হিন্দু নিগ্রহ: বিরোধী চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার

ঢাকা: বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিব্রত করার জন্যই দুর্গাপুজোর সময় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করছে বিরোধীরা। সেদেশের অগ্রণী সংবাদমাধ্যম গুলির অন্তর্তদন্তে এই মতামতই উঠে আসছে। দুর্গাপুজোর সময় সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনতার উপর নৃশংস আক্রমণ, পুজো মণ্ডপ ধ্বংস, প্রতিমা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা ঘটেছে। হিন্দু ব্যবসায়ীদের দোকান, সম্পত্তি লুটপাটের মত ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকির পরেও নোয়াখালীতে ইসকন মন্দিরে আক্রমণের ঘটনা ঘটে। মন্দিরে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।

জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘কালের কণ্ঠে’ লিখছে, “কুমিল্লার ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার অন্যতম কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বলে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। আর সরকারি দল আওয়ামী লীগ মনে করছে, যেসব এলাকায় দল সাংগঠনিকভাবে দুর্বল, সেসব এলাকায় এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।”

কুমিল্লায় একটি দুর্গা মণ্ডপে নাকি কোরান অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। ফেসবুকে এই খবর দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। এই বিপুল গণ্ডগোলের আশঙ্কা পুলিশ বা প্রশাসন কেউ করতে পারেনি। গোয়েন্দা-ব্যর্থতার প্রসঙ্গও। খবর অনুযায়ী, ” চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা এড়াতে না পারার কারণও বিশ্লেষণ করেছে সংশ্লিষ্টরা। হঠাৎ করে অনেক লোক একসঙ্গে আক্রমণ করেছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে ছিলেন ১৫ জন পুলিশ সদস্য। বাতাসের কারণে টিয়ার শেল কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়নি। আত্মরক্ষায় ব্যবহার করা রাবার বুলেটও দ্রুত ফুরিয়ে গেছে। ফলে চেষ্টাও কাজে লাগেনি। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে বুলেটই ব্যবহার করতে হয় পুলিশকে।”

কী করে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল? চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ শনিবার বিকেলে  কালের কণ্ঠকে বলেছেন, “গুলির বিষয়টি এড়ানোর সুযোগ ছিল না। পূজামণ্ডপটিতে শত শত লোক হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল।” গুলি করা না হলে হামলাকারীদের হাতে হয়তো অনেক লোক নিহত হতো। – জানান ওই পুলিশ অফিসার। এদিকে, ঘটনার সঙ্গে বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির জনৈক নেতার মধ্যে ফাঁস হওয়া ফোনালাপকে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। ওই ফোনালাপে মণ্ডপে কোরআন রাখার প্রসঙ্গ এসেছে।

বাংলাদেশের আরও একটি জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে যে আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের সরকার বিরোধী বিএনপি, জামাত এবং হেফাজতে’র ষড়যন্ত্র এই ঘটনার পিছনে দেখতে পাচ্ছে। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ভয়াবহ আক্রমণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’কে চিঠি লিখেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *