আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, সংক্রমণ ঠেকাতে ফের লকডাউনের পথে অধিকাংশ ইউরোপ

লন্ডন: ফের লকডাউনের পথে যেতে চলেছে ইউরোপ। সেকেন্ড ওয়েভের জন্য ইউরোপের বহু দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে জারি হয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যবিধি। ইতিধ্যেই প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত এক সপ্তাহে এত সংখ্যক মানুষের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

84394801cd3b1cb5791366be3d370e45

লন্ডন: ফের লকডাউনের পথে যেতে চলেছে ইউরোপ। সেকেন্ড ওয়েভের জন্য ইউরোপের বহু দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে জারি হয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যবিধি। ইতিধ্যেই প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত এক সপ্তাহে এত সংখ্যক মানুষের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

গত সপ্তাহে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র এবং ব্রিটেনেও রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এই হারে সংক্রমণ হতে থাকলে ফের সংকটে পড়তে পারে ইউরোপের দেশগুলি। করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। গত তিনমাস ধরে সংক্রমণের হার ক্রমাগত বাড়ছ। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজে তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। এই হারে সংক্রমণ বাড়লে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকার লকডাউনের কথা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানশেজ ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছেন। জারি হয়েছে নাইট কারফিউ। যাতায়াতের ক্ষেত্রেও আরোপ করা হয়েছে কড়া নিয়মকানুন। ইতালির পরিস্থিতিও তথৈবচ।

ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে গত সপ্তাহে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করে আয়ারল্যান্ড। ওয়েলসেও শুরু হয়েছে ১৭ দিনের লকডাউন। এমার্জেন্সি ছাড়া সব বন্ধ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভঘান গেথিং জানিয়েছেন, তাদের এখনকার এই সিদ্ধান্তে করোনা ঠেকানো সম্ভব বলে মনে করছেন তাঁরা। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, ১৭ অক্টোবর থেকে লন্ডন সহ বেশ কিছু শহরে চলছে লকডাউন। জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বাড়ির লোক ছাড়া বাইরের কারওর সঙ্গে মেলামেশায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এক জায়গায় ৬ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। করোনা প্রকোপের দ্বিতীয় ঢেউ সবচেয়ে বেশি আছড়ে পড়েছে ফ্রান্সে। ইদানীং প্রতিদিন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *