নতুন ‘পৃথিবী-সূর্য’ ৩০০০ আলোকবর্ষ দূরে, প্রাণ থাকা নিয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা

নতুন ‘পৃথিবী-সূর্য’ ৩০০০ আলোকবর্ষ দূরে, প্রাণ থাকা নিয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা

ওয়াশিংটন: এই অসীম ব্রহ্মাণ্ডে আমরা কি একা, নাকি অন্য কোনও সৌরজগতের কোনও এক গ্রহতে বসবাস করছে প্রাণ। এ প্রশ্ন সাধারণ মানুষ থেকে তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীদের তাড়িয়ে নিয়ে চলেছে। আধুনিক বিজ্ঞান অন্য সৌরজগতের সন্ধান পেয়েছে, বহু বহু আলোকবর্ষ দূরে গ্রহের সন্ধান পেয়েছে, কিন্তু প্রাণ আছে এমন কোনও প্রমাণ পায়নি। সম্প্রতি জার্মানির গটিনজেনের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর সোলার সিস্টেম রিসার্চের একদল গবেষক জানিয়েছেন এতদিনে এমন এক গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে যেখানে প্রাণের সঞ্চার হতেই পারে। কারণ যে তারাটিকে সে প্রদক্ষিণ করছে সে অনেকটা আমাদের সূর্যের মতোই।

পৃথিবী থেকে ৩০০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে কেওওয়াই-৪৫৬ নামের গ্রহটি। যে তারাটিকে সে প্রদক্ষিণ করছে তার নাম কেপলার-১৬০। এতদিন পর্যন্ত যে ক’টি সৌরজগতের খোঁজ পাওয়া গেছিল তাদের মধ্যমণি তারাগুলি ছিল ‘রেড ডোয়ার্ফ’। এই রেড ডোয়ার্ফ প্রজাতির তারাগুলোর তাপমাত্রা কম হয় এবং এরা ক্ষতিকারক তেজস্ক্রিয় ইনফ্রারেড রশ্মি নির্গত করে। কম তাপমাত্রা হওয়ার কারণে এগুলিকে লালচে দেখায়। কিন্তু এই কেপলার-১০৬ তারাটি সূর্যের মতো আলো ছড়ায়। ইনফ্রারেড রশ্মি নির্গমণও কম করে যতদূর সম্ভব। সেই সঙ্গে তারাটি থেকে কেওওয়াই-৪৫৬ গ্রহটির দূরত্বও প্রাণ সঞ্চারের জন্য আশাপ্রদ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কেপলার-১০৬-এর অন্তত তিনটি গ্রহ আছেই।

তবে আরও গবেষণা বাকি আছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। নাসা এবং ইএসএ-র তরফে যথাক্রমে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এবং প্লেটো টেলিস্কোপ বসানো হবে অদূর ভবিষ্যতেই। তারপর এই তারা এবং গ্রহকে নিয়ে আরও তথ্য জানা সম্ভব বলে বলে জানানো হয়েছে। ততদিন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বিজ্ঞানীরা। কে বলতে পারে, হয়তো ৩০০০ আলোকবর্ষ দূরেই রয়েছে প্রাণ কিংবা সভ্যতা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 4 =