মহাকাশে বৃহস্পতি-শনির ‘মহাসংযোগ’ ৩৯৭ বছর পর! সাক্ষী থাকলো বিশ্ব

শেষবার ১৬২৩ সালে বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহকে এত কাছাকাছি দেখা গিয়েছিল।

কলকাতা: দেখতে দেখতে ৩৯৭ বছর পার হয়ে গিয়েছে। শেষবার ১৬২৩ সালে বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহকে এত কাছাকাছি দেখা গিয়েছিল। সেটা ছিল গ্যালিলিওর টেলিস্কোপ আবিষ্কার ১৩ বছর পরের ঘটনা। ‌ আজ, ২১ ডিসেম্বর ২০২০। ফের একবার খুব কাছাকাছি এলো বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহ। এই বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকলো গোটা বিশ্ব। এদিন বিকেল ৫.২০ থেকে ৬.২০-এর মধ্যে এই মহাসংযোগ দেখা যায়।

দুটি গ্রহ নিজেদের মতো করে নিজেদের কক্ষপথে ঘুরতে থাকে। কিন্তু এমন একটি সময় আসে যখন নিজেদের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে এক রেখায় চলে আসে দুই গ্রহ। আজ এই ভাবেই এই বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকলো গোটা বিশ্ব। গবেষকরা জানিয়েছেন, শনি এবং বৃহস্পতি গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সবচেয়ে বেশি হওয়ায় মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহাণুর আঘাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারে এই দুটি গ্রহ। কারণ অধিকাংশ গ্রহাণুকে নিজেদের দিকে টেনে নেয় তারা। তবে এই দুই গ্রহের কাছাকাছি আসার ফলে পৃথিবীতে কতটা প্রভাব পড়বে সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু বলা না গেলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে জানানো হয়েছিল, পৃথিবীর ওপর খুব একটা প্রভাব পড়বে না এই মহা সংযোগের। এক কথায় বলা যায় এই দুটি গ্রহ পৃথিবীকে রক্ষা করে মহাকাশের বিভিন্ন ঝড় গ্রহাণুর বর্ষণ থেকে। তারা একসঙ্গে আসছে এটাই আজকের দিনের সবচেয়ে বড় বিরল ঘটনা।

গ্যালিলিওর টেলিস্কোপ আবিষ্কার করার ১৩ বছর পর এই ঘটনা ঘটেছিল। স্বাভাবিকভাবেই সেই সময়ে এত বেশি উত্তেজনা ছিল না যতটা আজ ২০২০ সালে রয়েছে। অবশ্য ভাবে বিশ্ববাসীর মধ্যে উত্তেজনা প্রবণ ছিল এই দুই গ্রহকে একসঙ্গে এত কাছাকাছি দেখার। সেই প্রেক্ষিতে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় টেলিস্কোপ লাগিয়ে দেখার ঝোঁক বেড়েছিল এদিন বিকেলে। আর প্রায় ৪০০ বছর পর এই ধরনের বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকতে যে সবাই চাইবে তা বলাই বাহুল্য। গবেষকদের মতে, ২০৪০ সালের নভেম্বর এবং ২০৬০ সালের এপ্রিল মাসে কাছাকাছি আসবে এই দুই গ্রহ। তবে আজকের দিনের মত এত কাছাকাছি আসতে তাদের দেখা যাবে ২০৮০ সালের মার্চ মাসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − four =