কিয়েভ: ৫৩ তম দিনেও অব্যাহত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ৷ ইউক্রেনের লিভে শুরু রুশ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হানা৷ বিস্তৃত এলাকায় আগুন৷ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে৷ মারিউপোল শহরে লাগাতার রুশ গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণে এখনও পর্যন্ত ২০৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷ আহত সাড়ে তিনশোর বেশি৷ দাবি ইউক্রেনের৷ লিভে জারি এয়ার রেড অ্যালার্ট৷
আরও পড়ুন- ক্ষমায় এসেই মোদীকে চিঠি পাক প্রধানমন্ত্রীর, কাশ্মীর নিয়ে কী বার্তা দিলেন শেহবাজ?
প্রায় দুই মাস হতে চলল এখনও পর্যন্ত যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ চোখে পড়ছে না৷ উপরন্তু নতুন করে শুরু হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র হানা৷ এদিকে, মারিউপোলের আত্মসমর্পণ করার ডেডলাইনও পেরিয়ে গিয়েছে৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সাফ জানিয়েছেন, মারিউপোল কেন, দেশের কোনও অংশই আত্মসমর্পণ করবে না৷
এদিকে, গত সপ্তাহে রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজ ‘মস্কোভা’ ডুবিয়ে দেয় ইউক্রেনীয় বাহিনী৷ এর পরেই যুদ্ধ পরিস্থিতি নতুন মোড় নেয়৷ কিয়েভ সহ ইউক্রেনের যে সকল বড় বড় শহর থেকে রুশ সেনা পিছু হঠেছিল, সেই সকল শহরগুলিতে নতুন করে মিসাইলহানা শুরু হয়েছে৷ সোমবার লিভে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে পর পর পাঁচটা মিসাইল হানা হয়৷ লিভ স্টেশনের ঠিক পাশে এই আক্রমণ চলে৷ মনে করা হচ্ছে রুশ বাহিনীর টার্গেট ছিল লিভ স্টেশন৷ যা পশ্চিম ইউক্রেনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশন৷ এই স্টেশন সরাসরি রাজধানী কিয়েভের সঙ্গে যুক্ত৷ এছাড়াও এই স্টেশনই পোল্যান্ড সীমান্তে যাওয়ার অন্যতম পথ৷ লিভ স্টেশনের উপর দিয়ে ইউক্রেনের বহু শরণার্থী পোলান্ডে আশ্রয় নিয়েছে৷
আজ সকাল থেকেই লিভে অবিরাম সাইরেনের শব্দ শোনা যাচ্ছে৷ অথচ গত ৫৩ দিনে এই অঞ্চলে সে ভাবে আক্রমণ হানেনি রুশ বাহিনী৷ সেই কারণেই ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত লিভ শহরে যাবতীয় সরকারি, কূটনৈতিক দফতর স্থানান্তর করা হচ্ছিল৷ কিন্তু জাহাজ ডোবার পর থেকে ইউক্রেনের চেহারা পাল্টাতে শুরু করেছে৷ ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে লিভের চিত্রও৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>