ইউক্রেনে হঠাৎ হাজির মার্কিন ফার্স্ট লেডি, জেলেনস্কির স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ

ইউক্রেনে হঠাৎ হাজির মার্কিন ফার্স্ট লেডি, জেলেনস্কির স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ

কিয়েভ: ইউক্রেন, রাশিয়া সংঘাতের ৭৩ তম দিনে যখন একদিকে রাজধানী কিয়েভসহ পূর্ব ইউক্রেনের একাধিক শহরতলী এবং গ্রাম থেকে রুশ বাহিনীর হামলার খবর মিলছে তখন হঠাৎই কোনরকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ইউক্রেনে হাজির হলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি তথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেন। জানা যাচ্ছে, রবিবার তিনি ইউক্রেনের উঝহর্ডে পৌঁছেছেন। মার্কিন ফার্স্ট লেডির এমন আকস্মিক আবির্ভাবে রীতিমত হতবাক ইউক্রেনবাসী। জানা যাচ্ছে ইউক্রেন প্রশাসনের কাছে মার্কিন ফার্স্ট লেডির আগমনের কোনও খবরই নাকি আগে থেকে ছিল না। অর্থাৎ এটা ফ্যাস্ট লেডির একেবারেই ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’। এর সঙ্গে খবর, ইউক্রেনে পৌঁছানোর পরেই জিল সাক্ষাৎ করেছেন ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি তথা ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোডিমির জেলেনস্কি স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কার সঙ্গে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে জেলেনস্কি যেভাবে ঠান্ডা মাথায় লড়াই করছেন এবং প্রত্যেকদিন ইউক্রেনবাসীকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছেন তাঁর সাধুবাদ জানিয়েছেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সঙ্গে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলো ঘুরে দেখেন। অন্যদিকে গত ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ইউক্রেন রাশিয়ায় সংঘাত শুরুর পর থেকেই ক্রমাগত ইউক্রেনবাসীর মনোবল বৃদ্ধি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারবার এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই আমেরিকা খাদ্য এবং অস্ত্র সরবরাহের দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু রবিবার যে চমকটি দিয়েছেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি তা কার্যত নজিরবিহীন। জানা যাচ্ছে কোনওরকম আগাম বার্তা ছাড়াই এদিন ইউক্রেনে পৌঁছান জিল। রবিবার প্রায় দু’ঘণ্টা তিনি ইউক্রেনে ছিলেন বলেও খবর।

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে মার্কিন ফার্স্ট লেডি হওয়ার পর এই প্রথম কোনো সোলো ট্রিপ করলেন জিল বাইডেন। অর্থাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ছাড়াই এই প্রথম অন্য কোনও দেশে সফরে গেলেন তিনি। তবে দক্ষিণ-পশ্চিমের ইউক্রেনের এই বিমানবন্দর চত্বর থেকে আর বাইরে বের হননি তিনি। ওই বিমানবন্দরেই তিনি ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মার্কিন ফার্স্ট লেডি। এর সঙ্গেি খবর পাওয়া যাচ্ছে একান্ত আলাপচারিতায় জিন ওলেনার কাছ থেকে তাঁর ছেলেমেয়েদের খবর নিয়েছেন। অন্যদিকে অলেনা জানিয়েছেন যে এই মুহূর্তে তাঁরা কতটা আতঙ্ক এবং বিপর্যয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে দুই দেশের ফাস্ট লেডির মধ্যে প্রায় ঘন্টা খানেক কথা হয় বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 4 =