কিয়েভ: রাত ঘুরলেই ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস। ৩১ বছর আগে এই দিনেই রাশিয়ার থেকে ছিন্ন হয়ে নিজেদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিল ইউক্রেন। ইউরোপের এক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নিয়েছিল এই দেশ। তবে বর্তমানে বদলেছে পরিস্থিতি। রাশিয়ার তাণ্ডবে আবারও সর্বহারা ইউক্রেন। তবে তার পরেও রুশ আগ্রাসনের সামনে মাথানত করেনি জেলেনস্কির দেশ। রাশিয়ার একের পর এক জোরালো আক্রমণের পরেও এখনও নিজেদের সিদ্ধান্তেই অটল তারা। এরমধ্যেই দেশের ৩১ তম স্বাধীনতা দিবস। আর এই স্বাধীনতা দিবসের দিনেই আশঙ্কার খবর শোনাল মার্কিন গোয়েন্দা দপ্তর। আমেরিকার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা দপ্তর গোপন সূত্রে খবর পেয়েছে রাশিয়া ইউক্রেনের এই স্বাধীনতা দিবসের দিনেই জোরালো আক্রমণের পরিকল্পনা করছে।
গোয়েন্দা দফতরের প্রাপ্ত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে মার্কিন বিদেশ দফতর ইউক্রেনে বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছে। দফতর জানিয়েছে, হামলার টার্গেট সরকারি দফতর, বেসমারিক এলাকা। এই প্রসঙ্গে মার্কিন বিদেশ দফতর থেকে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, সাইরেনের শব্দ শুনতে পেলে অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে। বাড়িতে বা আবাসনে যারা থাকেন, তাদের বলা হচ্ছে সাইরেনের শব্দ কানে এলে তারা যেন সেই বাড়ি বা আবাসনের একেবারে নীচে চলে যান। বাড়ি বা আবাসনের দরজা বা জানালা বন্ধ করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কেউ যেন জানালার কাছে বসে না থাকেন।
অন্যদিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার ছমাস পরেও এখনো ইউক্রেনে চলছে রুশ তান্ডব। গতকাল অর্থাৎ সোমবারই রাশিয়ার এক যুদ্ধবিমান বেশ কয়েকটি অসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালালে তাতে কয়েকজনের মৃত্যু হয় বলে খবর। ইতিমধ্যেই এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার তরফ থেকে এই হামলার জোরালো নিন্দা করে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, এই হামলা কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না। ইউক্রেনও যদি এই কাজ করে তাহলেও তারা তা সমর্থন করবে না।
এই হামলার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখ্য পরামর্শদাতা দারিয়া দুগিনার গাড়ি বোমায় মৃত্যু। মস্কোর দাবি, এই হামলার পিছনে রয়েছে ইউক্রেনের সিক্রেট সার্ভিস। মার্কিন গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, ওই ঘটনার বদলা নিতে রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবেই ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসকে বেছে নিয়েছে।