আজ বিকেল: ব্রেক্সিটের জের, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর হতে পারেন রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন প্রধান রঘুরাম রাজন। ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করেউত্তাল গোটা ইংল্যান্ড, এই মরশুমে অনেকেরই চাকরি গিয়েছে। নামী নামী প্রতিষ্ঠানে বাঘা কর্মকর্তারা চাকরি হারিয়েছেন। একইভাবে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বর্তমান গভর্নর মার্ক কারনি পদ হারাতে চলেছেন। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড ৩২৫ বছরের প্রাচীন প্রতিষ্ঠান যাকে তাকে তো আর এখানকার গভর্নর করে আনা যায় না। ইতিমধ্যেই পরবর্তী গভর্নর কে হবেন তানিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
চূড়ান্ত তালিকার আগে যে খসড়া তৈরি হয়েছে সেখানে বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে ভাবী গভর্নর হিসেবে। এরমধ্যেই ব্রিটিশ নন এমনও কয়েকজন রয়েছেন। সেই তালিকাতেই দেখা যাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের নাম। পর্যবেক্ষকদের মতে, ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর হওয়ার জন্য যা যোগ্যতা প্রয়োজন, সবই রঘুরাম রাজনের আছে। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আইএমএফের চিফ ইকনমিস্ট ছিলেন। পরে ভারত সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হন। ২০১৩ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরও হয়েছিলেন। এর পরে তিনি ভারতে মুদ্রাস্ফীতির সর্বোচ্চ লক্ষমাত্রা বেঁধে দেন। অনাদায়ী ঋণ আদায়ের চেষ্টা করেন। তবে অর্থনৈতিক নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য সরকারের কোনও কোনও মহল থেকে তাঁর সমালোচনাও করা হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে ডার্টমাউথ কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক ও ব্যাঙ্ক ওব ইংল্যান্ডের প্রাক্তন পলিসি মেকার ডেভিড ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার বলেন, যাঁদের নাম ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের পরবর্তী গভর্নর হিসাবে ভাবা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে খুব উল্লেখযোগ্য কেউ নেই। তাঁদের মধ্যে রঘুরাম রাজনের যোগ্যতাই সবচেয়ে বেশি। ৫৬ বছর বয়সী রাজন এখন শিকাগো বুথ স্কুল অব বিজনেসে অধ্যাপনা করেন। তিনি এসম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি। ইউকে ট্রেজারি ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের পরবর্তী গভর্নর নিয়োগ করবে। তারাও জানায়নি, ওই পদের জন্য কে কে আবেদন করেছেন। রাজকোষের চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড বলেছেন, পরবর্তী গভর্নরকে নিয়োগ করার জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক স্তরের বিশেষজ্ঞদের কথা ভাবতে হবে।
উল্লেখ্য, ব্রেক্সিট পর্বে ব্রিটেনের অর্থনীতি নিয়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন রাজন। তাঁর মতে, হতাশা থেকেই ব্রিটেনের মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু ব্রিটেনের অর্থনীতিকে যদি সফল হতে হয়, তাহলে তাকে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত থাকতেই হবে।