রাফাল ধাক্কায় অর্থের অভাবে ধুঁকছে হ্যাল, থমকে কর্মীদের বেতন

অর্থের অভাবে ধুঁকছে হ্যাল। কর্মীদের বেতন ও বকেয়া মেটাতে টাকা ধার করতে হচ্ছে দেশের যুদ্ধ বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থাটিকে। গতবছরের এপ্রিল থেকেই আর্থিক টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়। গত অক্টোবরেই এই নিয়ে সতর্ক বানী শুনিয়েছিল হ্যাল কর্তৃপক্ষ। সেসময় জানানো হয়েছিল প্রায় ২৯ হাজার কর্মীর বেতন মেটানোর জন্য মাত্র ১ হাজার কোটি টাকা হাতে আছে সংস্থাটির। যা দিয়ে মাত্র

রাফাল ধাক্কায় অর্থের অভাবে ধুঁকছে হ্যাল, থমকে কর্মীদের বেতন

অর্থের অভাবে ধুঁকছে হ্যাল। কর্মীদের বেতন ও বকেয়া মেটাতে টাকা ধার করতে হচ্ছে দেশের যুদ্ধ বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থাটিকে। গতবছরের এপ্রিল থেকেই আর্থিক টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়। গত অক্টোবরেই এই নিয়ে সতর্ক বানী শুনিয়েছিল হ্যাল কর্তৃপক্ষ। সেসময় জানানো হয়েছিল প্রায় ২৯ হাজার কর্মীর বেতন মেটানোর জন্য মাত্র ১ হাজার কোটি টাকা হাতে আছে সংস্থাটির। যা দিয়ে মাত্র ৩ মাস চালানো সম্ভব। সেই পুঁজিও এবার শেষ। তাই ওভারড্রাফ্ট বন্ডের মাধ্যমে আরও ১ হাজার কোটি টাকা ধার করতে বাধ্য হচ্ছে সংস্থাটি।

বহুবছর পর এরকম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে সংস্থাটি। হ্যালের সিএমডি আর মাধবন জানান, আমরা ঋণগ্রস্ত। কর্মী ও ভেন্ডারদের পাওনা মেটানোর টাকাও নেই। ওভারড্রাফ্ট বন্ডের মাধ্যমে আরও ১ হাজার কোটি টাকা বাধ্য হচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে, মার্চ মাসের মধ্যেই সংস্থার ঋণের টাকা দাঁড়াবে প্রায় ৬ হাজার কোটি। আপাতত ওভার ড্রাফ্ট লিমিট বাড়ানো ১,৯৫০ কোটি টাকা থেকে আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৩-২০০৪ সালের দিকে হ্যালের পুঁজি সবচেয়ে কমে এসেছিল। তবে সেসময়ও সংস্থার হাতে ছিল ৪,৮৪১ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের মার্চেও সংস্থার হাতে ছিল ৬,৫২৪ কোটি টাকা। সেটা কমতে কমতে সেপ্টেম্বরে এসে দাঁড়ায় ১ হাজার কোটিতে। ডিসেম্বরের ৩১ তারিকে আর্থিক ভাঁড়ার শূন্য হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে চললে, হ্যালের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে। রাফাল বিমান নিয়ে একদিকে এত তোড়জোড় চলছে। কিন্তু, হ্যাল যদি মুখ থুবড়ে পড়ে, এর চেয়েও বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের বায়ুসেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *