পার্থ: কোয়াডেন বেলেসের মৃত্যুর খবরে তোলপাড় নেটদুনায়ি৷ বিদ্বেষের শিকার ৯ বছরেরে এই অস্ট্রেলিয়ান বালক তামামা দুনিয়ায় বহু মানুষের কাছেই আজ অনুপ্রেরণা৷ চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তার কাহিনী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে৷ সম্প্রতি মৃত্যুর গুজবের শিকার হয় সে৷
কোয়াডেন যে বেঁচে আছে এবং সুস্থ আছে তার প্রমাণ দিয়েছেন খোদ কোয়াডেনের মা ইয়ারাক্কা বেলেস৷ তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে জানান, কোয়াডেনর মৃত্যুর গুজব চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে৷ তিনি আরও বলেন , ‘সতর্ক থাকুন এবং ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান৷’
খর্বকায় চেহারার জন্য প্রতি মুহূর্তে বিদ্রুপের শিকার হতে হয়েছে কোয়াডেনকে৷ তাকে দেখে নাক সিটকিয়েছন বহু মানুষ৷ শুনতে হয়েছে বক্রোক্তি৷ গত মাসে কোয়াডেনর একটি হৃদয়বিদারক ভিডিও পোস্ট করেন তার মা ইয়ারাক্কা৷ ওই ভিডিওটিতে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় কোয়াডেনকে৷ কাঁদতে কাঁদতেই সে বলে, ‘আমাকে একটা ছুরি দাও৷ আমি নিজেকে শেষ করে দিতে চাই৷’ এই ভিডিওটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তেই উত্তাল হয় সোশ্যাল মিডিয়া৷ ভিডিওটি দেখার পরই তার পাশে দাঁড়ায় বিশ্বের সেলেব মহল৷ কোয়াডেনের ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরা৷ ডিজনিল্যান্ড ঘোরার জন্য কোয়াডেনের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ মার্কিন ডলার পাঠানো হয়৷
ডোনেশনের মাধ্যমে এই টাকা সংগ্রহ করে পাঠান এক স্বহৃদয় ব্যক্তি৷ কিন্তু এই টাকায় হাত দেয়নি কোয়াডেনের পরিবার৷ দান করে দেন চ্যারিটির কাজে৷ আফশোষের সুরেই ইয়ারাক্কা বলেন, ‘কোন বাচ্চা চাইবে না ডিজনিল্যান্ড যেতে৷ কিন্তু কোয়াডেন চায় না৷ ও যে জীবন পেয়েছ সেই জীবন না কাটালে এটা বোঝা যাবে৷ প্রতিদিন বেঁচে থাকা ওর কাছে চ্যলেঞ্জ৷ ওর জীবনে আনন্দের কোনও জায়গা নেই৷ এই ছোট শিশুটি নিপীড়িত৷’ তিনি আরও বলেন, বর্ণবৈষম্য কত মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে৷ সাদা-কালোর তফাৎ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে৷
প্রসঙ্গত, কোয়াডেনর ওই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর নানা গুজব ছড়িয়েছিল৷ কেউ বলেছিলেন কোয়াডেন একজন অভিনেতা৷ সবটাই ভান৷ আসলে এখন ওর বয়স ১৮৷ বহু বছর আগেও মিডিয়ার আলোকে এসেছিল সে৷