বেজিং: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিল চিনের বেজিং সরকার। ১ সন্তান নীতি প্রয়োগ করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা ছিল মূল উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য এবার সফল হবার পথে। জানা গিয়েছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে বেজিংয়ে সর্বনিম্ন জন্মহার হয়েছে। এইভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর নিম্নমুখী হতে শুরু করবে সেখানের জনসংখ্যা। একইভাবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই গোটা দেশের জনসংখ্যা নিম্নমুখী হতে থাকবে।
গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, গতবছর বেজিংয়ে যত শিশু জন্ম ছিল তার ঠিক এক বছর আগে জন্মে ছিল ৩২,০০০-এর বেশি শিশু। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে যে গত বছর জন্মহার অনেকটাই কমে গিয়েছে বেজিংয়ে। এইভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সাল থেকে কমতে শুরু করবে বেজিংয়ের জনসংখ্যা। ঠিক একইভাবে, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী ২০২৭ সাল থেকে গোটা দেশের জনসংখ্যা হ্রাস পেতে শুরু করবে। গবেষকরা আরও লক্ষ্য করেছেন, শুধুমাত্র বেজিং নয়, পূর্ব এবং দক্ষিণ চিনের বেশ কয়েকটি শহরে উল্লেখযোগ্য ভাবে নবজাতকের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে গত বছরের তুলনায়। সেই প্রেক্ষিতেই আরো স্পষ্ট হচ্ছে যে, ১ সন্তান নীতি নিয়ে চিন জনসংখ্যা কমানোর প্রতি ব্যাপকভাবে অগ্রসর হয়েছে। যদিও এই পদক্ষেপ যে খুব একটা সুখকর হবে না ভবিষ্যতের জন্য সেটাও এর মধ্যে আন্দাজ করে ফেলেছে বেজিং সরকার। কারণ এই ভাবে জনসংখ্যা কমতে থাকলে ভারত-সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একাধিক দেশের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না তারা।
১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করার পর গত ২০১৬ সালে দুই সন্তান নীতি চালু করে চিন সরকার। জনসংখ্যা কমতে শুরু করায় এবার তারা তিন সন্তানের নীতি চালু করতে পারে বলে ধারণা। কারণ তা না হলে যদি অন্যান্য দেশের তুলনায় চিনের জনসংখ্যা কমতে শুরু করে তাহলে কোনোভাবেই বাকি দেশের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না বেজিং। আর অবশ্য ভাবে বলা যায় এটা কখনোই হতে দিতে পারে না তারা।