চিনা চালে গদিচ্যুত হাসিনা! ISI-এর সুপরিকল্পিত ষড়ন্ত্রেই বাংলাদেশে ‘অভ্যুত্থান’?

কলকাতা: আগুনটা জ্বলেছিল কোটা বাতিল আন্দোলনকে কেন্দ্র করে৷ সেই আন্দোলন হঠাৎই ঘুরে গেল এক দফা দাবিতে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফা চেয়ে উত্তাল হয়ে উঠল পদ্মাপাড়৷…

hasina patan

কলকাতা: আগুনটা জ্বলেছিল কোটা বাতিল আন্দোলনকে কেন্দ্র করে৷ সেই আন্দোলন হঠাৎই ঘুরে গেল এক দফা দাবিতে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফা চেয়ে উত্তাল হয়ে উঠল পদ্মাপাড়৷ ব্যাপক আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনাকে বাধ্য করা হলো ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে। তবে কূটনৈতিক মহলের কাছে এটা নিছকই ছাত্র আন্দোলন নয়৷ গোয়েন্দা সূত্রেও জানা যাচ্ছে, ওপাড় বাংলায় নিখুঁত ষড়যন্ত্রের জাল রচিত হয়েছিল৷ আর এর নেপথ্যে ছিল চিন ও পাকিস্তানের আইএসআই‌। বাংলাদেশে ভারত বিরোধী সরকার গড়ে তোলাই ছিল যার মূল লক্ষ্য।

 

চিনের সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিল শেখ হাসিনার সরকার। চিনা বিনিয়োগেই গড়ে ওঠে পদ্মা সেতু। বাংলাদেশে একাধিক পরিকাঠামো নির্মাণে কাজ করছিল চিনা সংস্থাগুলি। কিন্তু কূটনীতির খেলা ছিল আরও গভীর৷ চিনের সঙ্গে হাত মেলালেও বরাবরই বন্ধু ভারতকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন মুজিবকন্যা। বেজিংয়ের চাপ থাকলেও ভারত বিরোধী শক্তিগুলিকে কড়া হাতেই নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন তিনি। আওয়ামি সরকারের এই নীতিকে ভালো চোখে নেয়নি ড্রাগন শক্তি। বেজিং চাইছিল, ঢাকায় ভারত বিরোধী এক পুতুল সরকার বসাতে৷ সেই লক্ষ্য পূরণে তাঁদের হাতিয়ার হয়ে ওঠে জামাত৷

 

গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের ইসলামি ছাত্র সংগঠন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই সমর্থিত হরকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি (হুজি), ও পাকিস্তানের আরও এক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলেয়ে বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষ ও অশান্তি ছড়ানোর কাজ চালিয়ে গিয়েছে। আর সেই কাজে প্রত্যক্ষ মদত জোগায় চিন৷  জামাত ও ইসলামি ছাত্র সংগঠন চেয়েছিল বাংলাদেশে তালিবানের মত সরকার গড়ে উঠুক৷ তাদের এই কাজে পূর্ণ সহযোগিতা করে পাকিস্তান।