পুলিশ হতে চায় ‘হনুমান জি-র অবতার’! কেন জানেন?

তাকে দেখলে চোর পালাবে। তাই পুলিশ হতে চায় ললিত পতিদার। এলাকাবাসী যাকে ‘হনুমান জি-র অবতার’ বলেই মনে করেন। বছর ১৪-এর কিশোর ললিতের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের রাতলাম এলাকায়। তার বাবা বঙ্কতলাল আর মা পার্বতীবাঈ। এদেরই ৬ সন্তানের মধ্যে একমাত্র ললিতেরই গোটা শরীরই বড় বড় লোমে ঢাকা। জন্মের সময় ললিতকে দেখে চমকে উঠেছিলেন পার্বতীবাঈ। ছোট্ট শিশুর গোটা শরীরে

পুলিশ হতে চায় ‘হনুমান জি-র অবতার’! কেন জানেন?

তাকে দেখলে চোর পালাবে। তাই পুলিশ হতে চায় ললিত পতিদার। এলাকাবাসী যাকে ‘হনুমান জি-র
অবতার’ বলেই মনে করেন।

বছর ১৪-এর কিশোর ললিতের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের রাতলাম এলাকায়। তার বাবা বঙ্কতলাল আর মা পার্বতীবাঈ।
এদেরই ৬ সন্তানের মধ্যে একমাত্র ললিতেরই গোটা শরীরই বড় বড় লোমে ঢাকা। জন্মের সময় ললিতকে দেখে চমকে উঠেছিলেন পার্বতীবাঈ। ছোট্ট শিশুর গোটা শরীরে বড় বড় লোম। এ ছেলে বড় হয়ে কীভাবে সমাজে মিশবে, তা নিয়ে চিন্তার শেষ ছিল না পতিদার দম্পতির।

 

পার্বতীবাঈ-কে সেই সময়ে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা জানিয়েছিলেন, এ ছেলে স্বয়ং ‘হনুমান
জি-র অবতার’। তাই ভবিষ্যতে এ ছেলে যে বড় একটা কিছু হবে, পার্বতীবাঈ-কে সেই আশ্বাসও
দিয়েছিলেন পড়শিরা। তারপর থেকে ললিতকে ভগবানের অবতার জ্ঞানে মানুষ করতে থাকেন পতিদার দম্পতি। ললিতকে নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে। তখনই জানা যায় বিরল ‘ওয়্যারউলফ্‌’ রোগের শিকার ললিত। তার এই রোগের চিকিৎসাও এ দেশে সম্ভব নয়।

ললিতের বাবা পেশায় রসুন চাষি। ছেলেকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য তাঁর নেই।
অগত্যা ললিতের পরিণতিকে নিয়তি বলেই মেনে নিয়েছেন তিনি। ছোটবেলায়আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চমকে উঠত ললিত নিজেও। পাড়ার ছেলেরা তাকে দেখলে ভয়ে সরে যেত। বেপাড়ার ছেলেরা আবার তাকে দেখলে ঢিলও ছুঁড়ত। হনুমান বলেও কটাক্ষ করত কেউ কেউ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ললিত এখন অনেকটাই পরিণত। আয়নায় নিজের ছবি দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে সে।

স্থানীয় একটি স্কুলের ছাত্র ললিত তার বন্ধুদের সঙ্গে বেশ মানিয়ে নিয়েছে। এখন আর বন্ধুরা তাকে খেপায় না। তার এই ‘ব্যতিক্রমী শরীর’ যে তাকে আর পাঁচটা শিশুর থেকে আলাদা করেছে, তাও জানে ললিত। তাই হাসতে হাসতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে সে বলে, “আমি ভবিষ্যতে পুলিশ হতে চাই। চোরেরা আমায় দেখলে পালাবে।” ললিতের
প্রশংসায় পঞ্চমুখ তার স্কুলের শিক্ষকরাও। তাঁরা জানান পড়াশুনোর পাশাপাশি খেলাধূলায়ও বেশ ভালো ললিত। তাই ভবিষ্যতে ললিত যদি পুলিশ হয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলেই মনে করেন শিক্ষকরা।

একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, গোটা পৃথিবীতে ‘ওয়্যারউলফ্‌’ সিন্ড্রোমের শিকার হাতে গোনা কয়েকটি শিশু। কোনও চিকিৎসাতেই এখনও অবধি কেউ সুস্থ হয়েছে বলে জানা নেই। এই শিশুরা মিসিং লিঙ্ক কিনা, তা নিয়েও চলছে  গবেষণা। ললিতের পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে বলেই মনে করেন পড়শিরাও। তাঁদের স্থির বিশ্বাস, ললিত
স্বয়ং ‘হনুমান জি-র অবতার’ ছাড়া আর কেউই নয়। বিশ্বাসে মিলায়ে বস্তু…।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + five =