কোভিডবিধি ভাঙার শাস্তি ঠোঁটে চুমু! ভাইরাল পুলিশ-তরুণীর কীর্তি!

কোভিডবিধি ভাঙার শাস্তি ঠোঁটে চুমু! ভাইরাল পুলিশ-তরুণীর কীর্তি!

 
পেরু: গল্প নয়, সত্যি৷ এখানে সব চরিত্র বাস্তব৷ রাস্তায় প্রকাশ্যে দুই নারী-পুরুষের ঠোঁটে ঠোঁট৷ ঘটনাটি এখানকার নয়৷ এই ঘটনাটি ঘটেছে পেরুর রাজধানী লিমার মিরাফ্লোরেস ব্রডওয়াকে।

এক মহিলা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত আইনভঙ্গ করেছিলেন৷ সেই অপরাধের জরিমানা দিতে হল পুলিশ আধিকারিকের ঠোঁটে চুমু দিয়ে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। এই দৃশ্য মুহুর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এবং তোলপাড় পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কোভিড সংক্রান্ত আইন অমান্য করায় শাস্তি বা জরিমানার বদলে ওই মহিলার কাছে চুমু খাওয়ার দাবি করেছিলেন ওই পুলিশকর্মী। ঠোঁটে চুমু দিলেই শাস্তি মকুব হয়ে যাবে৷ এরপরই ওই মহিলা মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশকর্মীকে জড়িয়ে তাঁর ঠোঁটে ঠোঁট মেলান৷ একের পর এক চুমুতে ভরিয়ে দেন। আর তাতেই ওই মহিলা ছাড়া পেয়ে যান। এই ঘটনার ভিডিও মেয়রের নজরে পড়ে এবং  এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে।

প্রশাসনের তরফে জানানো হযেছে, “আমাদের মেয়র লুইস মোলিনা এই অফিসারকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। বেশ কয়েকটি বিধি লঙ্ঘন হয়েছে৷ ওই মহিলা সামাজিক দূরত্বের নিয়মকে অসম্মান করেছেন এবং তিনি চুমুর অনুমতি দেন। তারপরই  দায়িত্বে থাকা ইবারো রড্রিগেজ তাঁকে চুম্বন দেওয়ার জন্য মুখোশটি খুলে ফেলেন৷’ ইবারো রড্রিগেজ ওই জেলার নাগরিক সুরক্ষার দায়িত্বে ছিলেন৷

যে ভিডিওটি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে দু’দিকে দু’টি গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই মহিলা এবং পুলিশকর্মী। প্রথমে পুলিশকর্মী করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ভাঙার অপরাধে ওই মহিলার কাছ থেকে জরিমানা নেওয়ার চেষ্টা করেন৷ জরিমানা লেখার জন্য কাগজও বের করেন৷ তারপর কয়েক সেকেন্ড পর ওই মহিলা পুলিশকর্মীর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট চেপে ধরেন৷ ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে চলতে থাকে একের পর চুমু৷ এরপরই ওই মহিলা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *