উড়ানের ঠিক আগেই বিমানে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা ১১৩ যাত্রীর

উড়ানের ঠিক আগেই বিমানে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা ১১৩ যাত্রীর

চংকুইংঃ ফের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল চিন। মাসখানেক আগেই চিনে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় শতাধিক যাত্রীর। সেই দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা দেশের মানুষের মনে। তার মধ্যেই ফের বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেল একটি যাত্রীবাহী বিমান। জানা যাচ্ছে, চীনের চংকুইং এয়ারপোর্টের রানওয়েতে একটি যাত্রীবাহী বিমানে হঠাৎই আগুন লেগে যায় বুধবার। বিমানটি তখন রানওয়েতে উড়ান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু দৌড় শুরু করতেই ঘটে বিপত্তি।

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, যে সময় ওই বিমানে আগুন লাগে তখন বিমানের মধ্যে ছিলেন ১১৩ জন যাত্রী এবং ৮ জন কেবিন ক্রু। ঘটনায় তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জলন্ত বিমান থেকে সমস্ত যাত্রী এবং কেবিন ক্রুদের নিরাপদে নামিয়ে নিয়ে আসায় বড় বিপদ টলানো গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এই ঘটনায় কোন প্রাণঘাতীর ঘটনা ঘটেনি বলে জানা যাচ্ছে। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, দুর্ঘটনায় অন্তত ২৫ জন যাত্রী অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর বিমানবন্দরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল আটটা নাগাদ। বিমানটি দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের চংকুইং থেকে তিব্বতের নাইংচিতে যাচ্ছিল। যাত্রী ওঠানোর আগে বিমানটি ভালোভাবে পরীক্ষাও করেছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তখন কোনও গণ্ডগোল না পাওয়ায় বিমানটিকে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু বিপত্তি বাধে যখন বিমানটি দৌড় শুরু করে। বিমান কর্মীরা লক্ষ্য করেন বিমানটি দৌড় শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই তাতে কিছু যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই উড়ান বাতিল করা হয়। কিন্তু অতর্কিত বিমান থামানোর নির্দেশ পাওয়ায় বিমান চালকরা যখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়াই ওই বিমানটিকে থামানোর চেষ্টা করে তখনই তাতে আগুন লেগে যায় বলে অনুমান।

মুহূর্তের মধ্যেই আগুন গ্রাস করে গোটা বিমানটিকে। দ্রুত সেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়তে থাকে চারিদিকে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারকাজ এবং পাইলট ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় বিমানের ১১৩ জন যাত্রী এবং ৮ জন কেবিন ক্রুকেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পরই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে ওই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের সমস্ত যাত্রী ও বিমানকর্মীরা সুরক্ষিত রয়েছেন। তবে কয়েকজন যাত্রী আহত হওয়ায় তাঁদের দ্রুত সূর্য নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

চলতি বছরের প্রথম দিকে চিনের এক পাহাড়ি অঞ্চলে ভেঙে পড়ে একটি যাত্রীবাহী বিমান। দুর্ঘটনায় ওই বিমানে থাকা সমস্ত যাত্রীরই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছিল। অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় ভেঙে পড়েছিল ওই যাত্রীবাহী বিমানটি। ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দুর্ঘটনাগ্রস্ত হল চীনের আরও এক যাত্রীবাহী বিমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *