ইন্দোনেশিয়ার নুসা লেম্বোনগানের সমুদ্র সৈকত, যেখানে ঢেউ ভয়াল আকার ধারণ করে, এহেন নৈসর্গিক দৃশ্য দর্শনে সতর্ক নাহলে আপনার স্বর্গে গমন নিশ্চিত হতে পারে। চূড়ান্ত সতর্কতা ভেঙে সেই ঢেউয়েই নিজেকে ভাসিয়ে ছবি তুলতে চেয়েছিলেন তরুণী।
প্রেমিকের হাতে ছিল ক্যামেরা প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করেই তখন দর্শককুল হুমড়ি খেয়ে পড়েছে একেবারে তীরে। বড় ঢেউয়ের আবির্ভাব হতেই সেই ভিড় থেকে চিৎকার ভেসে আসছে। তবে কিছু জিনিস একবারি হয় আর কালেভদ্রে তার দেখা মেলে, আচমকাই সেই ঢেউ দৈত্যের চেহারা নিয়ে বেলাভূমিতে আছড়ে পড়ল, তার আগমনেই হুজুগে দর্শক প্রপাতধরণী তল, আর সেই তরুণীতো সোজা পাগলা সমুদ্রে বুকে। সঙ্গেসঙ্গেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঢেউয়ের ধাক্কায় তখন বেসামাল তরুণী বেশ অসুস্থ, প্রেমিকের অবস্থাও যায় যায়।
花季少女,巨浪吞噬,命懸一線 pic.twitter.com/qTo7vDyDRu
— 人民日報 People’s Daily (@PDChinese) March 17, 2019
জানা গিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার এই সৈকতে শুধু ঢেউের তুর্কি নাচন দেখতেই দর্শকরা দলে দলে ভিড় করে। এই জনসমাগমকে সতর্ক করতে উপকূল প্রশাসনের উদ্যোগের শেষ নেই। তীরের ২০ মিটারের মধ্যে যাওয়াও নিষিদ্ধ। তবে নিরাপত্তারক্ষী একটু চোখের আড়াল হলে কেই বা মানছে সেসব বিধিনিষেধ। পর্যটকরা তখন ভয়াবহতাকে ক্যামেরাবন্দি করতে ছুটোছুটি শুরু করে। এদিনও সেসবই চলছিল, আচমকাই ওই তরুণীর মনে হয় রোজকে কপি করি, টাইটানিকের নায়িকা। সেই পোজ দিয়ে অনেকটা সময় তিনি অপেক্ষা করছিলেন, ওয়েভ অফ দে শুরু হলেই ফটোগ্রাফারের ভূমিকায় থাকা প্রেমিক প্রবর কামাল দেখাবে। হলও তাই, তবে ঘাপটি মেরে থাকা বিপদ তরুণীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়তে সময় নিল না। ঢেউয়ের গ্রাসে সোজা সমুদ্রের কোলে তরুণী। এযাত্রায় বেঁচে ফিরলেও এখনও তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্যেই ভিডিওটি নিয়ে জনস্বার্থে প্রচার শুরু করেছে সেদেশের সরকার। যাতে পর্যটকদের নিরস্ত করা যায়।