ক্ষুরধার বুদ্ধি, মানুষকে টেক্কা দিতে পারে টিয়া-কাক! ব্যতিক্রমী মস্তিষ্ক, বলছে গবেষণা

ক্ষুরধার বুদ্ধি, মানুষকে টেক্কা দিতে পারে টিয়া-কাক! ব্যতিক্রমী মস্তিষ্ক, বলছে গবেষণা

নিউ ইয়র্ক: মস্তিষ্ক নিয়ে নানা সময়ে বিজ্ঞানীরা অনেক অজানা তথ্য তুলে ধরেছেন৷ কিন্তু নীল আকাশে ডানা মেলে উড়ে বেড়ানো পাখিদের মস্তিষ্ক নিয়ে তেমন আলোচনা চোখে পড়ে না৷ বলে রাখা ভালো, কিছু পাখির মস্তিষ্ক বেশ ক্ষুরধার৷ মস্তিষ্কের আকারও বেশ প্রশংসনীয়৷ লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বিবর্তনের ধারায় পরিবর্তিত হয়েছে তাদের মস্তিষ্কের গঠন৷ 

নয়া সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, টিয়া পাখি এবং কাকের মস্তিষ্কের গঠন তাদের শরীরের তুলনায় সত্যিই ‘ব্যতিক্রমী’৷ সেই তুলনায় পায়রা এবং ইমু পাখির শরীরের অনুপাতে মস্তিষ্কের গঠন একেরারেই ঠিকঠিকা৷ যেমনটা ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ছিল ডায়নোসরের৷ 

ডায়নোসর, প্রাচীন যুগের পাখি এবং আধুনিক যুগের পাখিদের মস্তিষ্কের গঠন নিয়ে কাজ করা একদল বিজ্ঞানী লক্ষ করেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাখিদের মস্তিষ্কের ক্ষমতার তারতম্য ঘটেছে৷ তাঁদের কথায়, ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ডায়নোসরের বিলুপ্তির পর সেই জায়গা দখল করে পাখিরা৷ তারা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেয়৷ আরও বৈচিত্রময় হয়ে ওঠে৷ এই পরিবর্তনের জোয়ারে বেশ কিছু পাখির মস্তিষ্কের আকার শরীরের তুলনায় বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়৷

আবার পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কিছু পাখির শরীরের আকার সঙ্কুচিত হতে থাকে৷ কিন্তু তাদের মস্তিষ্ক আগের মতোই বড় থেকে যায়৷ শরীরের অনুপাতে মস্তিষ্কের আকার বড় হওয়ায় এই পাখিগুলোর বুদ্ধিমত্তাও বৃদ্ধি পায়৷ লক্ষ লক্ষ বছর আগে স্থলজ প্রাণির মস্তিষ্কের এই বিবর্তনের ইতিহাস খুঁজে বার করেন ৩৭ জন বিজ্ঞানীর একটি দল৷ তাঁরা কয়েকশ পাখির মাথার খুলির আকৃতির উপর ভিত্তি করে মস্তিষ্কের গঠন সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছন৷ পরীক্ষায় দেখা যায় ইমু এবং পায়রার মস্তিষ্কের গঠন অনেকটাই থেরোপড ডায়নোসরের মতন৷ কিন্তু কাক এবং টিয়াপাখির মস্তিষ্কের আকার দেহ অনুপাতে অনেকটাই বড়৷ 

এই সমীক্ষার প্রধান সদস্য তথা ব্রুস মিউজিয়ামের বিজ্ঞানী ডা.ড্যানিয়েল কেপকা বলেন, দেহ সঙ্কুচিত হলেও মস্তিষ্ক বড় থেকে যাওয়ায়, এই পাখিদের মধ্যে একটা বিবর্তন ঘটে৷ সফল পাখি পরিবারের সম্পদ আসলে এই বৃহৎ মস্তিষ্ক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − 2 =