নয়াদিল্লি: কাশ্মীর ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করল না নিরাপত্তা পরিষদ৷ পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েও শেষ মুহূর্তে হাত তুলে নিল চিন৷ আমেরিকা, রাশিয়াও জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও হস্তক্ষেপ করবে পারবে না তারা৷ কাশ্মীর ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের তোলা পাক চেষ্টা করা হলেও তা পুরোপুরি ব্যর্থ৷ কাশ্মীর ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের কোন ভূমিকা নেই৷ কাশ্মীর সমস্যা ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে৷ আজ সাফ জানিয়ে দিন নিরাপত্তা পরিষদ৷
কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলাবে না পাকিস্তান৷ আগেই তা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র অ্যান্টনিও গুতারেসের৷ কিন্তু, মুখপাত্রের সেই মন্তব্যকে কার্যত উড়িয়ে কাশ্মীর ইস্যুতে জরুরি বৈঠক ডাকা হয় নিরাপত্তা পরিষদে৷ মূলত, চিনের মদতে আজই নিরাপত্তা পরিষদে এই জরুরি বৈঠেক ডাক দেওয়া হয়৷ কিন্তু, আলোচনায় কোনও সারবত্তা না থাকায় ভেস্তে যায় গোটা বৈঠক৷
এর আগে সিমলা চুক্তির উল্লেখ করে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র জানিয়েছেন, উপত্যকায় ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পথে না গিয়ে সংযত থাকুক৷ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তিতে কাশ্মীর সমস্যা দ্বিপাক্ষিক বলে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র৷ ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করছে কেন্দ্র৷ জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল এনে লাদাখ ও কাশ্মীরকে ২টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে৷ ভারতের এই সিদ্ধান্তকে একতরফা ও অবৈধ বলে রাষ্ট্রসংঘে অভিযোগ জানিয়েছে পাকিস্তান৷
কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা খারিজ করে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সিমলা চুক্তি অনুযায়ী কাশ্মীর ইস্যুটি ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়৷ এই চুক্তিতে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা করার কোনও নির্দেশ নেই৷ শান্তিপূর্ণভাবে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের কথা ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে৷ ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তিতে কাশ্মীরকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলেই মেনে নিয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান৷ সেই চুক্তি ও লাহৌর ঘোষণাপত্রই আলোচনার ভিত্তি হওয়া উচিত বলে মনে করে ভারত৷