প্যারিস: জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ প্রথম থেকেই রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। বার বার পাকিস্তানকে সতর্ক করে দেয় এফএটিএফ। তাতেও কোনও হেলদোল ছিল না পাকিস্তানের। ‘বন্ধু’ দেশ চিনও শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারল না পকিস্তানকে। চিন এফএটিএফের সভাপতি হওয়ার পরেও ধূসর তালিকার আওতায় চলে এল পাকিস্তান বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে।
করোনা আবহের জন্য এই আন্তর্জাতিক সংগঠনের তৃতীয় তথা শেষ প্লেনারি বৈঠক হয় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। ওই বৈঠকে সভাপতি ছিলেন চিনের শিয়াঙ্গমিন লিউ। বৈঠকে পাকিস্তানের আইএস ও আল-কায়দাকে আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে আলোচনা হয়। এফএটিএফের জার্মানির সভাপতিত্বের বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী অগস্ট পর্যন্ত পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় থাকতে হবে। এফএটিএফ যে এই সিদ্ধান্ত নেবেন, তা আগে থেকেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। আগের বৈঠকে পাকিস্তানকে ২৭টি অ্যাকশন প্ল্যান দেওয়া হয়। সেগুলো পূরণ করেত ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। তারপর থেকে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে বলে সকলেই অনুমান করেছিল।
আইএটিএফের তরফে জানানো হয়েছে, ২৭টি অ্যাকশন প্ল্যানের মধ্যে ১৪টি পাকিস্তান পূরণ করেছে। বাকিগুলোতে পাকিস্তান অগ্রগতি করেছে। তাই পাকিস্তানকে আরও তিন মাস সময় দেওয়া হল। এই তিনমাসের মধ্যে পাকিস্তান বাকি অ্যাকশন প্ল্যানগুলো সফল করতে হবে। আন্তর্জাতিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, আর্থিক তছরুপের বিষয়ে রাশ কোনওভাবেই আলগা দেওয়া যাবে না।