করাচি: পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে গোটা বিশ্বে প্রায় উত্তাল হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। ভারত সহ একাধিক দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে সাংবাদিকদের ফোন হ্যাক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারত ইতিমধ্যেই উত্তাল এবং বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলছে গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগ করে। অন্যদিকে ফ্রান্স প্রশাসন এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে। এবার এই ইস্যুতে চিন্তায় পড়েছে পাকিস্তান প্রশাসন। কারণ তাদের এখন সন্দেহ যে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ফোনও হ্যাক করা হয়েছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওহাদ চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ফোন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে যে পেগাসাস প্রযুক্তিতে তার মোবাইল হ্যাক করা হয়েছিল কিনা। যদি করা হয়ে থাকে তাহলে সেই প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেবে পাকিস্তান প্রশাসন বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। তিনি জানাচ্ছেন, পাকিস্তান সরকার ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে হ্যাক হয়েছে তাহলে এই বিষয়ের প্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ নেবে তারা এবং সঠিক জায়গায় এই ইস্যুর উদঘাটন করবে। সম্প্রতি ইনিই ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকারের অনৈতিক নীতির নিন্দা করেছিলেন পেগাসাস ইস্যুতে। বক্তব্য ছিল, যেভাবে ভারত সরকার সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ব্যক্তিগত পরিসরে উঁকিঝুঁকি দিয়েছে তা একেবারেই কাম্য নয়। এবার পাকিস্তানেও পেগাসাস আতঙ্ক।
আরও পড়ুন- উপনির্বাচনের প্রস্তুতি? হঠাৎ শহরের কোভিড টিকাকেন্দ্র পরিদর্শনে মমতা
এদিকে, ফ্রান্সের তরফে অভিযোগ, মরক্কোর গোয়েন্দা সংস্থা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি চালিয়েছে ফরাসি সাংবাদিকদের ফোনে। সেই প্রেক্ষিতেই ব্যক্তিগত পরিসরে অবৈধ প্রবেশ থেকে শুরু করে আড়ি পাতা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মত ১০ টি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, পেগাসাস স্পাইওয়্যার হল ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-র তৈরি একটি সফটওয়্যার৷ যা মূলত ফোনে আড়ি পাতার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷ শুধু ফোনে কথোপকথনই নয় হোয়াটসঅ্যাপে কী লেখা হচ্ছে, সে বিষয়েও এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে জানা যায়৷ এমনকী যে ফোনটি হ্যাক করা হয়েছে সেই ফোনে কী তথ্য বা ছবি রয়েছে সেটাও দেখা যায়৷