ইসলামাবাদ: ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ায় এমন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করুর ফেসবুক৷ ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গকে এমনই আর্জি জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷
ইসলাম বিদ্বেষ সম্পর্কিত কনটেন্ট নিষিদ্ধ করে দিতে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) মার্ক জাকারবার্গকে চিঠি দিয়েছেন ইমরান খান। চিঠিতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান লেখেন, ক্রমবর্ধমান ইসলাম বিদ্বেষ ‘বিশ্বজুড়ে চরমপন্থা ও সহিংসতাকে উত্সাহিত’ করছে। বিশেষত ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এসব ছড়ানো হচ্ছে। আমি আপনাকে আহ্বান জানাব, ইসলাম বিদ্বেষের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে। ইসলামের বিরুদ্ধে ঘৃণা ফেসবুকের মাধ্যমে যেন না ছড়ায়। তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক৷
জাকারবার্গকে চিঠি দেওয়ার পর সেই চিঠি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ এর প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুকের এক মুখপাত্র আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে বলেছে যে ফেসবুক সকল প্রকার ঘৃণার বিরোধিতা করে এবং কেউ বা কারা জাতিগত উত্স বা ধর্মের ভিত্তিতে আক্রমণ চালালে তাতে বাধা সৃষ্টি করে। একইসঙ্গে ফেসবুকের মুখপাত্র জানান, কোনও ধরণের ঘৃণা ছড়াতে পারে এমন পোস্ট দেখলে তা তত্ক্ষণাত্ মুছে ফেলা হয় ফেসবুকের তরফ থেকে৷ তবে ফেসবুকের এবিষয়ে আরও অনেক কাজ করা বাকি রয়েছে৷ যা শীঘ্রই করবে ফেসবুক৷
২০১৯ এর ডিসেম্বর থেকে গত ছয় মাসে ফেসবুকের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য৷ দেখা গিয়েছে রাশিয়ার পর সবথেকে বেশি কন্টেন্ট রোধ করা হয়েছে পাকিস্তানের৷ যার অর্থ পাকিস্তান থেকে এমন বহু বিদ্বেষমূলক পোস্ট করা হয়েছে যা সরাতে বাধ্য হয় ফেসবুক৷ এমনকি ফেসবুকের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইসলাম সম্পর্কিত বিষয়বস্তু অপসারণের জন্য সর্বাধিক অনুরোধ অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশকে ছাড়িয়ে পাকিস্তান থেকে এসেছে। জাকারবার্গকে চিঠিতে ইমরান খান ফ্রান্সের পরিস্থিতি সম্পর্কেও উল্লেখ করেছেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন, সেখানে ইসলামের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ যুক্ত ছিল। ইমান্যুয়েল মাকরণকে কটাক্ষ করে ইমরান বলেন, মহম্মদকে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে ইসলামকে নিজে মজা করেছিলেন ম্যাকরন৷