করাচি: কাশ্মীর ইস্যুতে মরিয়া পাকিস্তান৷ ভারতের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে ইসলামাবাদ৷ ভারতের হাইকমিশনকে ভারতে পাঠানোর নির্দেশ পাক প্রশাসনের৷ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তুতি পাক প্রশাসনের৷ আগামী ১৫ আগস্ট কাশ্মীর ইস্যুকে ‘কালাদিবস’ পালনের ডাক পাক সরকারের৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত বিরোধী প্রচারের সিদ্ধান্ত পাক প্রধানমন্ত্রীর৷ নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে তুলবে বলে দেওয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি৷
জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে আগেই চূড়ান্ত হুঁড়িয়ারি দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের৷ মঙ্গলবার পাক সংসদের যৌথ অধিবেশে তিন ঘণ্টা দেরিতে এসে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে ভারতের মুখোশ খুলে দেওয়ার হুমকি দেন ইমরান৷ কাশ্মীর ইস্যুর সঙ্গে বালাকোটের তুলোনা করেন তিনি৷
সংসদে ইমপান জানান, ‘‘ওরা আমাদের উপর হামলা করতে পারে৷ আমরাও জবাব দিতে পারি৷ যুদ্ধ হলে ফলাফল কী হবে, সে বিষয়ে আমি যাচ্ছি না৷ তবে, যুদ্ধের পর ফলাফল ভয়ংকর হতে পারে৷ আমরা এখনও চাই, সমস্যা সমাধান হোক আলোচনায়৷ ভারত কাশ্মীর সমস্যাকে বালাকোটের মতো পাকিস্তানের উপর চাপানো চেষ্টা করছে৷ আজ কাশ্মীরের সমস্যা গোটা বিশ্ব দেখছে৷ কাশ্মীরে যা হচ্ছে, গোটা মুসলিম সমাজের অপমান৷ আমরা কাশ্মীরের পাশেই বঞ্চিত মানুষের পাশে আছি৷ ভারতের এই সিদ্ধান্ত কাশ্মীরদের বাসিন্দাদের উৎক্ষাত করবে৷ তবে, আমরা এই নিয়ে থেমে থাকছি না৷ গোটা বিষয়টি আমরা আমেরিকার সঙ্গে কথা বলব৷ প্রয়োজনে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অভিযোগ জানাব৷ আন্তর্জিত মহলে কাশ্মীর সমস্যা তুলে ধরব৷ সেই ভারতের মুখোশ খুলে দেব৷’’
বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে ইমরান বলেন, ‘‘যারা গান্ধীকে হত্যা করেছিল, সেই দল আজ ভারতবর্ষের গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করছে। ওরা নিজেরাই নিজেদের দেশকে নষ্ট করছে৷ গণতন্ত্রকে নষ্ট করছে। আমরা বিষয়টি ইউনাইটেড কাউন্সেলিংয়ে বিষয়টি নিয়ে যাব৷ নিরাপত্তা পরিষদের আমরা তুলবো৷ কাশ্মীরে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেটা এখন গোটা পৃথিবীর সমস্যা৷ কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে অন্যায় করেছে বিজেপি সরকার। আর আমাদের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে।’’