ইসলামাবাদ: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই পঙ্গপালের হামলায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান। খেতের পর খেত ফসল নষ্ট করছে পঙ্গপালের দল৷ হানা দিচ্ছে বাড়িতেও৷ এই অবস্থা সামালানোর পথ বাতলালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ তাঁর সিদ্ধান্তেই এবার পাকিস্তানে মুরগির খাবারে পরিণত হল পঙ্গপাল৷
দেশকে বিপদমুক্ত করতে পাকিস্তানের ভরসা এখন ‘টিম মুরগি’। লাখ লাখ পঙ্গপাল ধরে বিক্রি করা হচ্ছে পোলট্রি ফার্মগুলিতে৷ আর মনের আনন্দে দিব্বি পঙ্গপাল চিবচ্ছে মুরগিগুলি৷ খাদ্যতালিকায় নতুন সংযোজনে বেশ খুশি তারাও৷ বিশ্লেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে কিছুটা হলেও পঙ্গপালের বংশবৃদ্ধি কমেছে। এই উদ্দেশে পাঞ্জাব প্রদেশে একটি পাইলট প্রজেক্ট শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যাতে বলা হয়েছে, পঙ্গপাল ধরতে পারলেই সরকারের তরফে মিলবে হাতে গরম নগদ পুরস্কার৷ এর পর সেই পঙ্গপাল বিক্রি করা হবে মুরগির ফার্মগুলিতে৷ জমা হওয়া পোকাগুলিকে শুকিয়ে মুরগির খাবারে পরিণত করা হবে। এতে লাভবান হবে হাজার হাজার পোলট্রি ব্যবসায়ীরাও।
এই পরিকল্পনাটি তৈরি করেছেন পাকিস্তানের খাদ্যমন্ত্রকের এক কর্তা মহম্মদ খুরশিদ ও প্রাণীবিদ জহর আলি। পঙ্গপাল ধরে বিক্রি করার এই পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানান ইমরান খান৷ এই সমস্যাকে সুযোগে বদলাতে পরিকল্পনায় সিনমোহর দেন পাক প্রধানমন্ত্রী৷ পঙ্গপালের হানায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানের ওকারা৷ সেখানে প্রতি কেজি পঙ্গপালের জন্য ২০ পাকিস্তানি রুপি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷ পুরস্কারের কথা ঘোষণা হওয়ার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা দিনরাত এক করে পঙ্গপাল ধরার কাজ শুরু করেছেন৷
পিটিভি’র খবর অনুযায়ী, বালুচিস্তানের ৩১টি জেলা, খাইবার পাখতুনখোয়ার ১০টি জেলা, পাঞ্জাবের ৪টি এবং সিন্ধের ৭টি জেলায় হামলা করেছে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল৷ পোকার দাপটে নাজেহাল সেখানকার মানুষ৷ ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ফসলের৷ জানা গিয়েছে, পঙ্গপালের হাত থেকে বাঁতচে নাকি চিনের মদত চেয়েছিল পাকিস্তান৷ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে পাকিস্তানে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১ লক্ষ হাঁস পাঠানোর তৈয়ারিও শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীর লাগোয়া জিনঝিয়াং প্রদেশে উপস্থিত হয়ে গিয়েছিল হাঁস বাহিনী৷ কিন্তু এতে কতটা কী উপকার হয়েছে, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি৷