ইসলামাবাদ: পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। পুলওয়ামা হামলা নিয়ে তিনি যে বক্তব্যে দিয়েছিলেন তার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন পাকিস্তানের মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ভারত বালাকোটে “পাকিস্তান ভূখণ্ডে প্রবেশের সাহস দেখানোর” পরে পাকিস্তান অপারেশন সুইফট রিসর্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পাকিস্তান যে পুলওয়ামা পরবর্তী অভিযান চালিয়েছিল সেই বিষয়ে তিনি কথা বলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী “পুলওয়ামা” শব্দটি তিনি বৃহৎ অর্থে প্রয়োগ করেছিলেন। তাঁর মন্তব্যের ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে পাকিস্তানের মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে ভ্রুঁ কুঁচকেছে রাজনৈতিক মহল। অনেকে আবার এও মনে করছে চাপের মুখে পড়ে ইমেজ পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান।
প্রসঙ্গত, আগের দিনই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তিনি গত বছর জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলার কথা তোলেন ও এর জন্য পাকিস্তানকে দায়বদ্ধ বলে মন্তব্য করেন। তাঁর মন্তব্য একটি বড়সড় বিতর্কের সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, “আমরা ভারতকে তাদের বাড়িতে ছুকে মেরেছি। পুলওয়ামায় আমাদের সাফল্য। এটি ইমরান খানের নেতৃত্বে জনগণের সাফল্য। আপনি এবং আমরা সকলেই সেই সাফল্যের অংশ।” এই বিবৃতিটি বিতর্ক সৃষ্টি করার পরই ভোল বদলান তিনি। বলেন, “পুলওয়ামার ঘটনার পরে যখন আমরা ভারতকে তাদের বাড়িতে ঢুকে মেরেছি।” পরে একটি টুইটে তিনি এও বলেন, “আমরা নিরপরাধদের হত্যা করে সাহসিকতা প্রদর্শন করি না। আমরা সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করি।”
পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ঈ-মহম্মদ দোষ স্বীকার করে নেওয়ার পরেও পাকিস্তান বারবার এই ঘটনায় নিজেদের অংশীদারির কথা অস্বীকার করেছিল। স্পষ্ট দাবি করা হচ্ছিল, পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানের কোনো ভূমিকা নেই। পরবর্তী ক্ষেত্রে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে এয়ারস্ট্রাইক করে। সেই ঘটনায় ভারতের বায়ু সেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমান আটক হন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর দ্বারা। তবে ৫৮ ঘন্টার মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। ২০১৯ সালের ১ মার্চ অভিনন্দন বর্তমানকে ছেড়ে দেয় পাকিস্তান। ওয়াদা আত্তারি সীমান্ত দিয়ে ভারতে নিজের ঘরে ফেরেন তিনি।