ইসলামাবাদ: রক্ষকই ভক্ষক! হেফাজতে থাকা কয়েদিকে নগ্ন হয়ে নাচার নিদান দিলেন খোদ পুলিশ কর্মী৷ চূড়ান্ত অমানবিকতার সাক্ষী থাকল পাকিস্তানের জেল৷ এদিকে, জোড় করে মহিলা কয়েদিকে নগ্ন করে নাচ করানোর অভিযোগে চাকরি খোয়াতে হল অভিযুক্ত মহিলা পুলিশ অফিসারকে৷
আরও পড়ুন- আঁতুর ঘর সেই চিন! মিলল ১৮ রকমের ভয়ঙ্কর ভাইরাসের সন্ধান, হতে পারে অতিমারি
শুক্রবার পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বালোচিস্তান প্রদেশে পুলিশ হেফাজতে থাকা এক কয়েদির সঙ্গে এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে। যদিও ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ইন্সপেক্টর শাবানা ইরশাদ নামের ওই মহিলা পুলিশ কর্মীকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷ একজন মহিলা হয়ে অপর একজন মহিলা কয়েদিকে উলঙ্গ হয়ে নাচতে বাধ্য করেন তিনি৷ শাবানার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। তারা অবশ্য নিশ্চিত পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় ওই কয়েদির সঙ্গে সত্যিই এমন আপত্তিকর কাণ্ডটি করেছেন শাবানা।
এ প্রসঙ্গে কুয়েটার ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল মহম্মদ আক্রম বলেন, “তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ইন্সপেক্টর শাবানা একটি শিশুর খুনের তদন্ত করছিলেন। সেই সূত্রেই পরী গুল নামে এক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের থানায় নিয়ে আসেন। জেলহেফাজতে থাকাকালীন জোর করে পরীর পোশাক খুলে দেন শাবানা। শুধু তাই নয়, পরীকে ওই অবস্থায় নাচতেও বাধ্য করেন তিনি।”
শাবানা আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনও যুক্তি খাড়া করতে পারেননি৷ আদালতের নির্দেশে পরীকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে৷ জানা গিয়েছে তিনি ট্রমার মধ্যে রয়েছেন৷ অন্যদিকে বরখাস্ত হয়ছেন শাবানা৷