কলকাতা: ছুটির দিনটা একটু অন্যরকম করে কাটাতে সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় নানান পরিকল্পনা৷ তার মধ্যে রকমারি খাবারের তালিকাটা সবার প্রথমে৷ আর ডিসেম্বর অর্থাৎ এখন থেকেই হিমেল হাওয়ায় একটা উৎসব উৎসব আমেজ৷ কিন্তু এই মনোরম বাজারে গিয়ে সেই আমেজ এক নিমিষেই উধাও হয়ে যাচ্ছে৷ পছন্দসই মাছ, মাংস ডিম থেকে শুরু করে শাকসবজি এমনকি ফলমূলও ছুটির দিনের বিশেষ পরিকল্পনা থেকে কাটছাট হয়ে যাচ্ছে অতিরিক্ত দাম এর জন্য৷
এরসঙ্গে রান্না কিংবা খাওয়ায় সেই বিশেষ উপকরণ পেঁয়াজের দাম যন্ত্রণা আরও দ্বিগুন করছে৷ সেক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি বাজার ও খাওয়া-দাওয়ার পরিকল্পনা ছেড়ে দিয়ে ছুটির দুপুরে শুধুমাত্র মাংসর ঝোল ভাত খেতে গেলেও পকেটের কথা ভাবতে হচ্ছে বাঙালিকে৷ যদিও ক্রমবর্ধমান পেঁয়াজ সংকট কাটাতে তৎপর রাজ্য সরকার থেকে কেন্দ্রীয় সরকার উভয়েই৷ আযর কদিন পরেই কেন্দ্রের আমদানি করা বিদেশি পেঁয়াজ ঢুকে যাচ্ছে বাংলার বাজারে৷ এমনটাই জানা যাচ্ছে রাজ্য কৃষি বিপনন দপ্তর সূত্রে৷
জানা গেছে চাহিদার তুলনায় সেই পেঁয়াজের পরিমান বেশ কিছুটা কম৷ রাজ্য চেয়েছিল ৮০০ টন পেঁয়াজ কিন্তু প্রথম পর্যায়ে বরাতে জুটেছে মাত্র ২০০ টন৷ শুধু পশ্চিমবঙ্গেই মাসে প্রায় ৭০ হাজার টন পেঁয়াজ লাগে৷ তবে যেহেতু পেঁয়াজের ঝাঁঝে চোখে জল সব রাজ্যেই৷ কেন্দ্রের বক্তব্য, সবার মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দিতে গেলে একটু কম তো পড়বেই৷ সূত্র বলছে, সেই সুদূর মিশর থেকে ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই পেঁয়াজ ঢুকে যাচ্ছে মুম্বই বন্দরে৷ মোট এক লক্ষ কুড়ি হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ প্রথম পর্যায়ে আসছে ৬ হাজার টন৷ পর্যায়ক্রমে পেঁয়াজ আমদানি করবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থা এমএমটিসি৷
রাজ্যবাসী হাতে কম দামে পেঁয়াজ পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ সুফল বাংলার স্থায়ী ও অস্থায়ী ভ্রাম্যমান স্টলের মাধ্যমে নিয়ম করে মাথাপিছু ১কেজি করে পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে কলকাতার বেশ কিছু বড় বড় বাজারের সামনে৷ কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম নেওয়া হচ্ছে ৫৯ টাকা৷ তবে সেখানেও নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷ পেঁয়াজ কিনতে এত বেশি ভিড় জমছে যে সেই ভিড় সামলে পেঁয়াজ কিনতে ও বিক্রি করতে নাকাল হতে হচ্ছে ক্রেতা- বিক্রেতা উভয়পক্ষকেই৷
তারওপর এখানেও ভাগ-বাটোয়ারা করে দিতে গিয়ে মাথাপিছু ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে ফলে বাড়ছে খুচরো ঝামেলা৷ তবে কেন্দ্র থেকে বিদেশি পেঁয়াজ এলে তা শুধু সুফল বাংলায় নয়, রেশন ও সমবায় দপ্তর এর মাধ্যমেও বিক্রির পরিকল্পনা করছে রাজ্য কৃষি বিপণন দপ্তর৷