একটা মিথ্যে কথা, তার জেরে ৬ দিনের লকডাউন অস্ট্রেলিয়ায়!

কিছু মাস আগে পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন ছিল ভাইরাস আটকানো একমাত্র উপায়।

অ্যাডিলেড: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে গোটা বিশ্বের ঘুম উড়েছে। কিছু মাস আগে পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন ছিল ভাইরাস আটকানো একমাত্র উপায়। এখন আপাতত আনলক পর্ব চলছে বিভিন্ন দেশে। কিন্তু তা বলে ভাইরাস নিয়ে মানুষের আতঙ্ক চলে গেছে এমনটা নয়। সাধারণ মানুষের মনে করোনাভাইরাস নিয়ে কতটা আতঙ্ক রয়েছে তা আরো একবার প্রমাণ করলো অস্ট্রেলিয়ার বিরল ঘটনা। সংক্রমণ লোকাতে একটা মিথ্যে কথা, তাতেই ৬ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা হল দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায়।

ঘটনাটি কি ঘটেছে? জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি গত কয়েকদিনে কাদের সংস্পর্শে এসে ছিলেন। এই প্রশ্নের উত্তরে সেই ব্যক্তি বেমালুম মিথ্যে কথা বলে বলেন, তিনি শুধুমাত্র একটি দোকানে পিজা কিনতে গিয়েছিলেন, সেখানে অল্প সময়ের জন্য ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই ব্যক্তি সেই পিজার দোকানে পার্টটাইম কাজ করতেন, সেদিন বেশ কয়েক ঘণ্টা অন্যদের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং তাদের সংস্পর্শে এসেছেন। এই খবর জানা মাত্রই নতুন করে ভাইরাস আতঙ্ক শুরু হয় সেখানে। পরবর্তী ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, ওই দোকানের আরো কয়েকজন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলত, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউন কার্যকরী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে, তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই উঠে যাবে লকডাউন, মনে করা হচ্ছে এমনটাই।

পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছে, ব্রিটেন থেকে অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসা এক ব্যক্তির প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সংস্পর্শে এসে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় কমপক্ষে ২৫ জন করোনাভাইরাস সংক্রামিত হয়েছেন। ওই নির্দিষ্ট পিজার দোকানে কাজ করা অন্য এক ব্যক্তিও এই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে সংক্রামিত হয়েছেন‌। সব মিলিয়ে নতুন করে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং কার্যকরী হয়েছে লকডাউন। তবে মিথ্যে বলার জন্য ওই ব্যক্তিকে কোন রকম শাস্তি দিতে পারবে না অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ প্রশাসন। কারণ এই বিষয়ে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, এই ধরনের কাজের জন্য নির্দিষ্ট কোন শাস্তির কথা বলা নেই তাদের সংবিধানে। তাই মনে করা হচ্ছে, মিথ্যে বলে ভাইরাস আতঙ্ক বাড়িয়ে দেওয়ার পরেও ছাড় পেয়ে যাবেন ওই ব্যক্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *