অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনে মৃত ব্রাজিলের স্বেচ্ছাসেবক! নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

ব্রাসিলিয়া: করোনা টিকা নিয়ে গবেষণা চলছে বহুদিন ধরেই। ইতিমধ্যেই চিনের তৈরি COVID-19-এর টিকা 'করোনাভ্যাক'কে নিরাপদ বলে ঘোষণা করেছে ব্রাজিল। বর্তমানে করোনা যুদ্ধে সবুজ সংকেত পেতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-এর দ্বারস্থ হয়েছে চিন। গবেষণার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনও। কিন্তু সম্প্রতি এক স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যুতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে গোটা বিশ্ব। ব্রাজিলে ওই স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়েছে। 
 

ব্রাসিলিয়া: করোনা টিকা নিয়ে গবেষণা চলছে বহুদিন ধরেই। ইতিমধ্যেই চিনের তৈরি COVID-19-এর টিকা ‘করোনাভ্যাক’কে নিরাপদ বলে ঘোষণা করেছে ব্রাজিল। বর্তমানে করোনা যুদ্ধে সবুজ সংকেত পেতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-এর দ্বারস্থ হয়েছে চিন। গবেষণার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনও। কিন্তু সম্প্রতি এক স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যুতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে গোটা বিশ্ব। ব্রাজিলে ওই স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়েছে। 

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে গবেষায় ব্রাজিলে হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। সেই ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন এই স্বেচ্ছাসেবক। বুধবার ব্রাজিলের স্বাস্থ্যসংস্থা আনবিশা জানিয়েছে, ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হলেও ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ করা হবে না। ঘটনায় উঠছে একের পর এক প্রশ্ন। এই টিকা কতটা বিরাপদ তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে তেমনই ওই স্বেচ্ছাসেবককে সত্যিই করোনার টিকা দেওয়া হয়েছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদমাধ্যমকে যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রুপ বা কন্ট্রোল গ্রুপে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখে সংস্থা। আলাদা আলাদাভাবে প্রত্যেকের উপর নজর রাখা হয়। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। অন্যদিকে ব্রাজিল সরকারও হিউম্যান ট্রায়াল চালিয়ে যেতে চায়। ফলে বন্ধ করার কোনও প্রশ্নই উঠছে না।  

মৃত ওই স্বেচ্ছাসেবক ব্রাজিলের কোথায় থাকতেন, তা ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ সাও পাওলোর তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। প্রসঙ্গত, ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ সাও পাওলো ব্রাজিলে অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও অক্সফোর্ডের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে সহায়তা করছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে যাঁদের উপর করোনা টিকার পরীক্ষা চালানো হচ্ছে মৃত স্বেচ্ছাসেবক সেই কোভিড-১৯ গ্রুপের হলে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল স্থগিত করে দেওয়া হত। সূত্রের খবর, মৃত ব্যক্তির শরীরে কোনও করোনা টিকা প্রয়োগ করা হয়নি। তবে সেই তথ্য সরকারিভাবে স্বীকৃত না হওয়ায় সূত্রের তরফেও দৃঢ়ভাবে কিছু জানানো হয়নি। এদিকে এই স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যুর ঘটনায় ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। অন্যদিকে অ্যাস্ট্রোজেনেকার তরফে জানানো হয়েছে, গোপনীয়তার খাতিরে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হবে না। এছাড়া টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম রয়েছে। তাই সেদিক থেকেও কোনও তথ্য প্রকাশ করা বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *