নয়াদিল্লি: ওমিক্রন নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ৷ বিশ্বের ৩৮টি দেশে ইতিমধ্যে থাবা বসিয়েছে করোনার এই নয়া ভেরিয়েন্ট বা রূপ৷ ভারতেও চুপিসারে ঢুকে পড়েছে ওমিক্রন৷ অধিক মিউটেশন হওয়ায় এটি অনেক বেশি সংক্রামক৷ কিন্তু এর মারণ ক্ষমতা তেমন নেই। ওমিক্রন সম্পর্কে প্রাথমিক ভাবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে বলে জানালেন শীর্ষস্থানীয় মার্কিন এপিডিমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচি। পাশাপাশি তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, নয়া স্ট্রেন সম্পর্কে এখনও অনেকটাই অজানা।
আরও পড়ুন- ওমিক্রন রুখতে প্রস্তুতি শুরু, দক্ষিণ আফ্রিকায় WHO-র বিশেষজ্ঞ দল
একটি মার্কিন সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফাউচি বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ভাল ইঙ্গিতই মিলছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কম ছিল। এখন গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বেশির ভাগ রোগীই করোনার নয়া রূপ ওমিক্রনে আক্রান্ত। কিন্তু কোনও রোগীরই বাড়াবাড়ি হওয়ার খবর মেলেনি।’’ তাছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় অল্পবয়সির সংখ্যাই অধিক৷ আশঙ্কা করা হচ্ছিল, দেশের অল্পবয়সীদের একটা বড় অংশ বিপদে পড়বে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমনটা ঘটেনি। যে ৪০টি দেশে ওমিক্রনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে কোনও দেশ থেকেই বিপদবার্তা মেলেনি।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ডেল্টা স্ট্রেনকে সরিয়ে ক্রমেই পৃথিবীতে ছেয়ে যাবে ওমিক্রন৷ সেক্ষেত্রে এই স্ট্রেনটি যদি নিরীহ হয়, তাহলে মানবজাতির সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ভাইরাসে একটি সন্ধি হবে হয়তো। সেউ সঙ্গে আরও একটি প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি ওমিক্রনেই শেষ হবে অতিমারি? অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনোলজি-র অধ্যাপক তথা অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের কোভিড টিকার স্রষ্ঠা সারা গিলবার্টের কথায়, আগামী দিনে ফের কোনও অতিমারি আসতেই পারে। হয়তো আরও ভয়ঙ্কর ভাবে। এই অতিমারি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের তৈরি থাকতে হবে।