নিউ ইয়র্ক: ১১০ বছর বয়সী জুলিও সিজার মোরা তপিয়া এবং ১০৪ বছর বয়সী ওয়ালড্রামিনা ম্যাক্লোভিয়া কুইন্টেরো রেস ৭৯ বছর ধরে বিবাহিত জীবন যাপন করছেন। এই কারণেই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিলেন তাঁরা। তাঁরা একসঙ্গে অনেক বিবাহিত দম্পতির মতো চ্যালেঞ্জ এবং অসুবিধাগুলির মুখোমুখি হয়েছেন। অনেক আনন্দের মুহূর্তও উপভোগ করেছেন। তবে, একে অপরের প্রতি তাঁদের যে ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা রয়েছে তা তাঁদের প্রাচীনতম বিবাহিত দম্পতির খেতাব অর্জনে সাহায্য করেছে। এই দুজনের মিলিত বয়স ২১৪ বছর ৩৫৮ দিন।
জুলিও সিজার জন্ম হয়েছিল ১৯১০ সালের ১০ মার্চ এবং ওলড্রামিনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯১৫ সালের ১৬ অক্টোবর। জুলিও সিজার জন্ম হয়েছিল টাইটানিকের ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়ার আগে। মূলত ইকুয়েডরের, জুলিও সিজার এবং ওয়ালড্রামিনা তাঁদের জীবনকে শিক্ষকতায় করেছিলেন। আজ তাঁরা অবসর গ্রহণ করছেন। যখন তাঁর স্কুল ছুটি থাকত ওয়ালড্রামিনা তাঁর বোনের বাড়ি গিয়ে থাকতেন। ওই বিল্ডিংয়েই জুলিও সিজারও থাকতেন। একজিন জুলিও ওয়ালড্রামিনার বোনকে দেখতে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁদের গল্প শুরু হয়। বন্ধুত্ব ক্রমে প্রেমে পরিণত হয়। যার ফলস্বরূপ এই দম্পতি সাত বছর পরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
জুলিও সিজারের মধ্যে ওয়ালড্রামিনা এমন এক প্রেমময় মানুষকে পেয়েছিলেন যিনি চেতনায় তরুণ এবং দুর্দান্ত সাহিত্যিক সম্ভাবনাবিশিষ্ট মানুষ। যিনি তাঁকে তাঁর সুন্দর কবিতা দিয়ে মুগ্ধ করেছিলেন। জুলিও সিজার ওয়ালড্রামিনার সৌন্দর্য, কথোপকথন ও বড় মনের পরিচয় পেয়ে তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন। এই দম্পতি ১৯৪১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়েতে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন তাঁদের গডপ্যারেন্টস এবং নিকটতম বন্ধুরা। এটি লা ইগলেসিয়া দে এল বেলেনের কুইটো শহরের প্রাচীনতম গির্জার মধ্যে সম্পন্ন হয়। বর্তমানে তাঁরা পাঁচ সন্তানের বাবা-মা। তাঁদের বড় ছেলে ৫৮ বছর বয়সে মারা যান। আজ তাদের ১১ জন নাতি-নাতনি, তাঁদের ২১ জন ছেলেমেয়ে অর্থাৎ এই দম্পতির গ্রেট গ্র্যান্ড চিলড্রেন এবং ৯ জন গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড চিলড্রেন রয়েছে।